হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদসহ ট্রাস্টি বোর্ডের তিন সদস্যের সঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিকের দুর্ব্যবহার ও অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ বলা হয়, গত রোববার (৬ নভেম্বর) এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান দুই সদস্য ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর ও অ্যাডভোকেট রুবায়েত হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ট্রাস্টের সুবিধাভোগী শাহাতা জারাব এরশাদ এরিকের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য রাজধানীর বারিধারার ১০ দূতাবাস রোডস্থ প্রেসিডেন্ট পার্কে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বিদিশা সিদ্দিক।
শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে ট্রাস্ট নির্ধারিত অফিসে গিয়ে ট্রাস্টের গুরুত্বপূর্ণ দলিল দস্তাবেজ, রেজুলেশন বই, বিভিন্ন মামলা-মোকাদ্দমার কপিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে বিদিশার নিয়োগকৃত কর্মচারি জেমস্ অরবিন্দু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন।
এ ঘটনায় সোমবার (৭ নভেম্বর) বিদিশাকে এরশাদ ট্রাস্টের প্যাডে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।লিখিত নোটিশে জানানো হয়, তার আচরণ ও কর্মকাণ্ডে ট্রাস্টের সদস্যরা বিব্রত এবং সুবিধাভোগির নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। পাশাপাশি ট্রাস্টের গুরুত্বপূর্ণ দলিল দস্তাবেজ, রেজুলেশন বই, বিভিন্ন মামলা-মোকাদ্দমার কপিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে সংরক্ষিত আছে কিনা, তা নিয়েও ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ শঙ্কিত।
এতে আরও বলা হয়, যেহেতু বিদিশার নিয়োগকৃত কর্মকর্তা/কর্মচারিবৃন্দ ট্রাস্টের নির্ধারিত অফিসের ঠিকানায় অবস্থান করেন, সেহেতু এর দায়ভার তার (বিদিশা) উপরই বর্তায়। সে কারণে ট্রাস্টের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে জাতীয় পার্টি ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের নাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বিদিশাকে আবারো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এবার তিন দিনের মধ্যে জবাব ও ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি ও বিরোধী দলীয় নেতার মূখপাত্র কাজী মামুনূর রশীদ।
চিঠিতে বলা হয়, বিদিশা ঘোষিত কো-চেয়ারম্যান দয়াল কুমার বড়য়া, যুগ্ম-মহাসচিব মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিকদার আনিছুর রহমান, সৈয়দ জুবায়ের আহমেদ ও দফতর সম্পাদক নাফিস মাহাবুবসহ অন্যান্যরা একই কর্মকান্ড (পোস্টার, ফেস্টুন ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিজের নামের সঙ্গে জাতীয় পার্টি ও পদপদবি) ব্যবহার অব্যাহত রেখেছেন।
বিদিশার এসব কর্মকাণ্ডে জাতীয় পার্টির সবস্তরের নেতাকর্মীরা চরমভাবে ক্ষুদ্ধ। আগামী তিন দিনের মধ্য পদ-পদবি বিলুপ্ত ঘোষণা করে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা না চাইলে বিদিশার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন কাজী মামুনুর রশীদ। এর আগে গেল ২৯ অক্টোবর সাত কর্মদিবস ধার্য করে একই ধরনের নোটিশ দিয়েছিলেন জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলনের যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ