প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পরও মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু বিএনপি যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে তাহলে বেগম খালেদা জিয়াকে আবার জেলে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার ১০ বছরের জেল হয়েছে। হ্যাঁ, অসুস্থ, বয়োবৃদ্ধ, তার বোন, ভাই, বোনের জামাই আমার কাছে এসেছে, আবেদন করেছেন, আমরা তার সাজাটা স্থগিত করে তাকে বাড়িতে থাকার সুযোগটা দিয়েছি। মানবিক কারণেই দিয়েছি।
‘কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি করলে, যদি ওরা বেশি বাড়াবাড়ি করে, বিএনপি যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে আবার জেলে পাঠিয়ে দেবো।’
বিএনপিকে ছাড় দেওয়া হবে না হুঁশিয়ার করে শেখ হাসিনা বলেন, অবৈধ সরকার, ক্ষমতা দখলকারীর দ্বারা গঠিত অবৈধ দলগুলো আজকে খুবই লাফালাফি করে, খুব ভালো কথা। আমরা বলেছি শান্তিপূর্ণ মিছিল, মিটিং করো, আমরা কিছুই করবো না। কিন্তু ঐ যে লাঠিসোটা নিয়ে এসে ভাবসাব দেখানো, আর যদি একটা মানুষের গায়ে হাত দেয়, আমরা ছাড়বো না।
বিএনপির গণতন্ত্র উদ্ধারের সাম্প্রতিক ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপির ওপর প্রতিশোধ নিতে যায়নি আওয়ামী লীগ। যে দলের জন্ম অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীদের হাতে; তারা আবার গণতন্ত্র কী উদ্ধার করবে, সেটাই আমার প্রশ্ন।
সরকারপ্রধান বলেন, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যা করে খুনিরা থেমে যায়নি, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চার নেতাকে হত্যা করেছিল। তারা বাংলাদেশের ইতিহাসকেই পাল্টে ফেলার চেষ্টা করেছিল। খুনি মোশতাক-জিয়াই তাদের হত্যা করে।
তিনি বলেন, ৩ নভেম্বর চার নেতাকে হত্যার পর মানুষ বুঝে ফেলেছিল এটা বাংলাদেশের ইতিহাসকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র। জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে পাকিস্তানের যোগসাজশে হত্যাকারীদের লিবিয়ায় আশ্রয়ণের ব্যবস্থা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্ত্র নিয়ে ঢোকা যায় না। কিন্তু, তারা অস্ত্র নিয়ে ঢুকেছিল। গণভবন থেকে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, যেভাবে ঢুকতে চায়, সেভাবেই যেন ঢুকতে দেওয়া হয়। জেলার তাদের ঢুকতে না দিলে তাকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, মিটিংয়ের কথা বলে তারা ঢুকতে চায়। কিন্তু তাদের সঙ্গে অস্ত্র ছিল। জিয়া এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িত ছিল বলেই মোশতাক যখন রাষ্ট্রপতি হলো, নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়েই জিয়াউর রহমানকে বানাল সেনাপ্রধান। কাজেই মোশতাকের পতনের সঙ্গে সঙ্গে জিয়ার হাতে সমস্ত ক্ষমতা চলে এল।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ