জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের পর থেকে দলীয় যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন, তা অবৈধ। একইসঙ্গে তিনি একজন আইনপ্রণেতা হয়ে আদালতের প্রতি সম্মান দেখান না, যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাবেক এমপি ও সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
বুধবার (২ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ (১ম আদালত) জি এম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমের নিষেধাজ্ঞার ব্যাখ্যা দিয়ে জিয়াউল হক মৃধা বলেন, তিনি অগণতান্ত্রিক পন্থায় দলটি পরিচালনা করছেন। তার দলের চেয়ারম্যান থাকার অধিকার নেই। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বেগম রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির কর্ণধার।
তিনি বলেন, গঠনতন্ত্রের ২০(১) ক ধারা ব্যবহার করে জাপায় দাস প্রথা চালু রেখেছেন চেয়ারম্যান। গণতান্ত্রিক দেশে কোনো রাজনৈতিক দলে দাসপ্রথা চলতে পারে না। জাতীয় পার্টির সকালে এক রং, বিকালে আরেক রং, আবার রাতে আরেক রং ধারণ করে থাকে।
আপনারা রাজনীতিতে কোন রং ধারণ করবেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এমপি বলেন, গিগগিরই রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টিতে নতুন রং নিয়ে রাজনীতি শুরু করবেন। যা দলের লাখ লাখ তৃণমূল নেতাকর্মীর মনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদ, সাবেক এমপি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, সাবেক এমপি এম এ গোফরান, নুরুল ইসলাম মিলন ও অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। জাপার বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধা গত ৪ঠা অক্টোবর একটি মামলা দায়ের করেন দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে। গত সোমবার ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ (১ম আদালত) মাসুদুল হক শুনানি শেষে জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞার একটি কপি পরদিন মঙ্গলবার বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে জমা দেন।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ