আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্যে বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা করে ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (২ নভেম্বর) বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যই হল মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করা, যাতে কেউ সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলার সাহস না পায়। তবে রক্তপাত ঘটিয়ে, জীবন কেড়ে নিয়ে, ভীতি সৃষ্টি করে আর ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না। জনগণ আর বসে থাকবে না। দুঃশাসন মোকাবিলায় সরকারের রক্তপাত কর্মসূচিকে সম্মিলিত শক্তি দিয়ে জনগণ প্রতিহত করবে।

বিৃবতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশকে এখন গোরস্থানে পরিণত করেছে সরকার। দেশের জনপদের পর জনপদে মানুষ হত্যার মহাযজ্ঞ যেন থামছেই না। এই সরকার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার মিশন নিয়ে কাজ করছে। আজকে সন্তানহারা পিতা-মাতা, স্বামীহারা স্ত্রী ও পিতাহারা সন্তানদের আহাজারিতে প্রতিদিনই দেশের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠছে।

অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ১১নং পশ্চিম ফতেপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সলিমুল্লাহ লাভলুকে হত্যা করেছে দৃর্বৃত্তরা। এছাড়া বরিশালের বানারীপাড়া থানা এলাকায় বিএনপির লিফলেট বিতরণকালে হামলায় দলটির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ দলে এখন সন্ত্রাসীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সবসময় রক্ত ঝরানোর নেশায় উন্মাদ হয়ে থাকে। শাসকগোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতায় এই দলের সন্ত্রাসীরা দেশকে হত্যা, দখল, হাঙ্গামা, রক্তারক্তি ও খুনোখুনীতে ডুবিয়ে দিয়েছে। বিচারহীনতার কারণেই সন্ত্রাসীরা রক্তাক্ত সহিংসতা ঘটাতে উৎসাহিত হচ্ছে। তবে জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে শীঘ্রই বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর রাজসিংহাসন উড়ে যাবে।

নয়াশতাব্দী/এফআই