দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সাংগঠনিক কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবে আজ শনিবার শের-ই-বাংলা নগরে বাণিজ্যমেলা মাঠে দলের ঢাকা জেলা সম্মেলন থেকে হবে ড্রেস রিহার্সেল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থাকছে—এমনটা ধরে নিয়েই নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি চূড়ান্ত করছে দলটি। আমলে নিচ্ছে না বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের হুমকি-ধামকি। জাতীয় সংসদে যাদের প্রতিনিধিত্ব নেই তাদের দাবি-দাওয়াও আমলে নেবে না। এমন কি বিএনপির নির্বাচন সংক্রান্ত রূপরেখা প্রকাশের অপেক্ষায়ও নেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে অংশ নিয়ে সংসদ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করার দাবি-দাওয়া নিয়ে মাঠ গরমের চেষ্টা করছে দলটি। সামনে বিষয়টি নিয়ে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার। প্রশাসন ও রাজনৈতিক সাংগঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে সরকারবিরোধী যেকোনো আন্দোলন কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
সরকারের প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতার সঙ্গে আলাপকালে এমন সব তথ্যের আভাস পাওয়া গেছে। নির্বাচন বছরের পরিকল্পনা নিয়ে এবং দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের দুটো সূত্রই এক এবং অভিন্ন ভাষা প্রকাশ করেছে। তারা আগামী দিনগুলোতে যেকোনো বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত আছেন।
সরকার ও দল কোনো অবস্থাতেই কাউকে দেশের আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ নষ্ট করতে দেবে না। মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়াসহ সরকার বিরোধী কোনো ইস্যুই আন্দোলনের ইস্যুতে পরিণত করতে দেয়া হবে না।
সূত্রগুলো জানায়, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের নজরদারিতে রেখেছে ক্ষমতাসীন দল ও সরকার। তবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেবে না। বিরোধী জোটের যেকোনো বক্তৃতা-বিবৃতি ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জবাবদানের জন্য ক্ষমতাসীন দলের নেতারা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আর প্রশাসন প্রস্তুতি নিয়েছে যেকোনো ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ প্রতিরোধের।
এজন্য পুলিশ প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদ থেকে বিভিন্ন পদে এরই মধ্যে কিছুটা রদবদল করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনেও দক্ষদের পদায়ন করা হবে। তবে কোনো কোনো মহল মনে করে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধের সুযোগে সরকার বিরোধীরা দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি করতে পারে। সেজন্য সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে সরকারকে আগাম সতর্ক বার্তাও দেয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল শুক্রবার বলেন, জনসমাগম কাকে বলে তা আগামীকাল (শনিবার) থেকে বিএনপিকে বুঝিয়ে দেয়া হবে। বিএনপির তিনটা সমাবেশ দেখেই নাকি সরকারের কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে সরকারের কাঁপাকাঁপির কী আছে? কোনো সমাবেশে ১০ লাখ লোকের টার্গেট করে এক লাখও হয়নি, আবার কোথাও পাঁচ লাখ টার্গেট করে পঞ্চাশ হাজারও হয়নি। এটাই তো বিএনপির সমাবেশের চেহারা। তিনি বিএনপির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগরীতে ওয়ার্ড ও থানার সম্মেলনে কত হাজার লোক হয়েছে তা দেখুন, যা পত্রপত্রিকা ও মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আসুক বা না আসুক, আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে হবে। সাধ্য থাকলে নির্বাচন ঠেকাতে আসুক বিএনপি। নির্বাচন বিএনপি বা অন্য কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর একাধিক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের সংগঠনের নেতাকর্মীরা সরকার বিরোধী পক্ষের আন্দোলন সংগ্রামের হুমকি-ধামকিতে ভীত নয়। তাদের শংকা দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ। আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ-দ্বন্দ্ব-সংঘাত মিটমাট করে দিলে সরকার বিরোধীরা মাঠেই নামতে পারবে না। আন্দোলনের ভয় আওয়ামী লীগ করে না।
তিনি বলেন, সরকার বিরোধীদের আন্দোলনের হুমকি ও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগের তিনজন প্রবীণ প্রেসিডিয়াম সদস্যের সঙ্গে কথা বললে তারা তিনজনই একই মন্তব্য করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপিকে সেই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। জ্বালাও-পোড়াও করে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, জনগণ বিএনপিকে আবার ভোট দেবে এমন কোনো কারণ নেই। তাদের ২০ ভাগ ভোট পাওয়ারও সম্ভাবনা নেই। দেশের মানুষ শান্তি চায়, তারা কখনোই জ্বালাও-পোড়াওকে সমর্থন করবে না। এই সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার থাকবে, এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আজ: আন্দোলনের মাঠ জমাতে সারা দেশে বিভাগীয় সমাবেশ করছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে আজ শনিবার রংপুরে সমাবেশ রয়েছে দলটির। একই দিন রাজধানী ঢাকার শের-ই-বাংলা নগর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মাঠে লক্ষাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের বিশাল আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে তৈরি করা হয়েছে বিরাট মঞ্চ ও প্যান্ডেল। ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো সম্মেলনস্থল। তৈরি হয়েছে শুভেচ্ছা তোরণ।
দীর্ঘদিন পর ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ। ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হলেও এবারের সম্মেলনটি হচ্ছে আট বছর পর। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। পুরো ঢাকা জেলা বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত থাকলেও নবম থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার পাঁচটি আসন আওয়ামী লীগের হাতে চলে যায়।
এ ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী দিনের নেতৃত্বে কারা আসছেন, এমন আলোচনা এখন সবখানে। তবে নতুন কমিটি ভোটের মাধ্যমে হবে নাকি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
শনিবার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি পেতে যাচ্ছে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ। সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম এমপি। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। এ ছাড়া সম্মেলনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সালমান এফ রহমান।
সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে ধামরাই, সাভার, আশুলিয়া থানা, কেরানীগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা, দোহার ও নবাবগঞ্জসহ সাতটি ইউনিটের নেতাকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন মোকাবিলায় কাকে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে, এ নিয়েও ব্যাপক আলোচনা চলছে।
ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে সভাপতি পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে দুজনের নাম উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে একজন হলেন, বর্তমান সভাপতি ধামরাইয়ের বেনজীর আহমদ ও অন্যজন জেলা আওয়ামী লীগের ১ নম্বর সদস্য এবং জ্বালানিও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী কেরানীগঞ্জের নসরুল হামিদ বিপু এমপি।
অন্যদিকে, সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে আছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দোহার উপজেলার মাহবুবুর রহমান, ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ধামরাই উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ঢাকা জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম সামসুদ্দোহা খান মজলিশের ভাগ্নে সাভার উপজেলার মাসুদ চৌধুরী ও বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নবাবগঞ্জের পনিরুজ্জামান তরুণ।
বর্তমান সভাপতি বেনজীর আহমদ বলেন, এবারের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। লক্ষাধিক লোকের জমায়েতের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সাংগঠনিকভাবে আমরা আগের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় আছি। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা যার হাতে জেলার নেতৃত্ব দেবেন তার নেতৃত্বে আমরা কাজ করব। তিনি বলেন, জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে প্রতি ইউনিটে ১০ হাজারের বিপরীতে একজন কাউন্সিলর হবেন। কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠিত হবে। কাউন্সিলররা সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটাই মেনে নেয়া হবে।
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের বক্তব্য মাহবুবুর রহমান বলেন, কখনো দল পরিবর্তন করিনি। যখন যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। নেত্রী আবারও আমাকে দায়িত্ব দিলে আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজ করব।
মাসুদ চৌধুরী বলেন, আমি যখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি, তখন সাভার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। পর্যায়ক্রমে সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাভার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। আগামীর জেলা কমিটিতে যদি আমাকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়, তাহলে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে দলকে আরও শক্তিশালী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব।
পনিরুজ্জামান তরুণ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। আমি আশাবাদী, দল আমাকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিলে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে দলকে আরও সুসংগঠিত করব।
দলীয় সূত্র, থানা ও উপজেলার তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা জেলার সাভার ও কেরানীগঞ্জ আসনে দুজন মন্ত্রী রয়েছেন। ঢাকা জেলা দেশের অন্যতম সাংগঠনিক ইউনিট। এ ইউনিটকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে না পারলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন মোকাবিলা সম্ভব হবে না। তাই নতুন নেতৃত্বের পাশাপাশি অভিজ্ঞ নেতৃত্বের যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে বলে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম রতনসহ অনেকে মনে করছেন। জেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২০ ডিসেম্বর সাভার অধর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভোটের পরিবর্তে সমঝোতার মাধ্যমে ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য ধামরাইয়ের বেনজীর আহমদ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দোহারের সন্তান মাহবুবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর ২১ মাস পর ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এর আগে ২০০৪ সাল থেকে তারা দুজন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৯৯২ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বেনজীর আহমদ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ওই সময় মাহবুবুর রহমান ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক। মূলত এদের দুজনের নেতৃত্বে প্রায় ২৮ বছর ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ