ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিশ্বের সব সরকারই কি তাহলে পদত্যাগ করবে?

ফখরুলকে প্রশ্ন কাদেরের
প্রকাশনার সময়: ২৭ অক্টোবর ২০২২, ১৩:২৫

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

নিন্দা জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বিএনপি মহাসচিবের কাছে প্রশ্ন করে বলেন, কথায় কথায় সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন। বিশ্বের সব দেশের সরকারই কি তাহলে পদত্যাগ করবে? সব দেশে সরকার পদত্যাগ করলে সমগ্র বিশ্বই তো সরকারবিহীন হয়ে পড়বে। নিশ্চিতভাবে পৃথিবীর সকল রাষ্ট্র সরকারবিহীন চলতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকের দায়িত্ব হলো ধৈর্য্যের সাথে সংকট মোকাবিলা করা।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ সব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় প্রতিটি বিরোধীদলেরই দেশ ও জনগণের প্রতি দায়িত্ব এবং কর্তব্য রয়েছে। কিন্তু মির্জা ফখরুলরা দায়িত্বশীল বিরোধীদলের ভূমিকা পালন না করে তাদের চিরায়ত মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তির রাজনীতি অব্যাহত রেখেছেন।

তিনি বলেন, দেশবাসী ভুলে যায়নি, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল; গণবিরোধী নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। জনকল্যাণের অঙ্গীকারকে পরিহার করে তারা গোষ্ঠীতন্ত্র ও সিন্ডিকেটতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও কর্মপ্রয়াসের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় অর্থনীতির রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বসভায় অনন্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন। যাদের সময় বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় জনগণের বুকে গুলি চালানো হয়েছিল- যারা জাতীয় গ্রিডে এক ইউনিটও বিদ্যুৎ জোগান দিতে পারেনি; তারা আজকের সংকট নিয়ে অর্বাচীন মন্তব্য করবে এটাই স্বাভাবিক।

বিশ্বমানব আজ এক অনাকাঙ্ক্ষিত সংকট অতিবাহিত করছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পৃথিবীর বৃহৎ অর্থনীতির দেশসমূহকেও আশঙ্কাজনক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের প্রায় সকল রাষ্ট্রেই খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। যার অভিঘাতে আজ এক অনাকাঙ্ক্ষিত সংকটের মুখোমুখি আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশও। বৈশ্বিক এই সংকটময় পরিস্থতি বিবেচনা না করে বিএনপি নেতৃবৃন্দ দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে নানা ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকের দায়িত্ব হলো ধৈর্য্যের সঙ্গে সংকট মোকাবেলা করা।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সংকট মোকাবেলায় অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একথা আজ প্রমাণিত যে, বৈশ্বিক এই সংকট মোকাবিলা করে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে ধরে রাখার মতো নেতৃত্ব যদি কেউ রাখেন তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমরা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি অতীতের ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা অব্যাহত রাখুন। শেখ হাসিনার গৃহীত সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার প্রতি ধৈর্য্য ও দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই সংকট মোকাবিলায় সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ্।

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ