দুই যুগ পর সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি আবুদল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মুহম্মদ বাদল পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।
রোববার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে ওসমানী স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তাঁরা পুনর্নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাদের নাম ষোষণা করেন।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
এদিকে দীর্ঘ সময় পর সম্মেলন হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলন ঘিরে পদপ্রত্যাশী ও নেতাকর্মীদের ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো নগর।
সর্বশেষ ১৯৯৭ সালের ২০ ডিসেম্বর শহরের চাষাঢ়া জিয়া হলে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সম্মেলনে অধ্যাপক নাজমা রহমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শামীম ওসমান। বিএনপিরে আমলে শামীম ওসমান দেশ ছাড়েন। পরবর্তী সময়ে এস এম আকরামকে আহ্বায়ক ও মফিজুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে কেন্দ্র। কিন্তু তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি।
পরবর্তী সময়ে আহ্বায়ক এস এম আকরাম দল ছেড়ে নাগরিক ঐক্যে যোগ দিলে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয় সদস্যসচিব মফিজুল ইসলামকে। ২০১৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মফিজুল ইসলাম মারা যান। তার মৃত্যুর পর ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের তৎকালীন প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইকে সভাপতি এবং সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। এর ১৩ মাস পর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ৭৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। ওই কমিটিতে সহসভাপতির দুটিসহ ছয়টি পদ শূন্যই ছিল। ইতোমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগ রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, বন্দর, ফতুল্লা ও সর্বশেষ সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন করেছে।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ