ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ চায় বিএনপি

প্রকাশনার সময়: ২১ অক্টোবর ২০২২, ১৯:০৮ | আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২২, ১৯:১২

জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদ বিপুর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলটি বলছে, পিজিসিবির কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াই তো মুখ্য নয়। লোক দেখানো গল্প-কথার প্রতিবেদন নয়। এই বিপর্যয় কেন ঘটলো এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের বিপর্যয় এড়াবার রোডম্যাপ জনসম্মুখে প্রকাশ করা হোক। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসেনর কার্যালয়ে ‘ব্ল্যাক আউট বাংলাদেশ: লুটেরা আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ খাতকে বিলিয়নিয়ার তৈরির কারখানায় পরিণত করে অর্থনীতি ও জনজীবন সংকটাপন্ন করে তুলেছে’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় দলটি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।

গ্রিড বিপর্যয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর কোনও দায় আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, অব্যশই দায় আছে। তার তো পদত্যাগ করা উচিত। উল্টো তিনি প্রশ্ন করছেন ফখরুল আর টুকু কী বোঝে? আমিতো পাঁচ বছর মন্ত্রী ছিলাম না, সাড়ে ৪ বছর ছিলাম। তাও বিদ্যুতের প্রত্যেকটা জিনিস বুঝি। সে তো ১৫ বছর মন্ত্রী। তার আরও বেশি বোঝা উচিত।

তিনি বলেন, গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনায় চাকরি গেলে এমডির যাওয়ার কথা। কারণ এমডির তো সবকিছু খেয়াল করার কথা। আর এনএলডিসি স্থাপন হয়েছে অনেক আগে। যেটাকে ডিজিটালাইজড করার কথা। যেটা দিয়ে সারা দেশে বিদ্যুৎ কোথায় কী হচ্ছে দেখবে। সেটাকে এখন ম্যানুয়াল করে রাখা হয়েছে।

টুকু আরো বলেন, এতে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে সুবিধা হচ্ছে। চুরি-দুর্নীতি করার জন্যই এটা ডিজিটালাইজড করেনি, এনালগ করে রেখেছে। মোট কথা হচ্ছে পুরোটাই হচ্ছে লুটপাট-চুরি, আর সেটা বহন করতে হচ্ছে জনগণকে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য মির্জা ফখরুল বলেন, গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনায় প্রায় দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনও বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানানো হয়নি। এই অদক্ষ সরকারের পরিকল্পনাহীনতা, অপরিণামদর্শিতা ও জবাবদিহি হীনতার কারণেই তারা এমন উদাসীনতা দেখাতে পারছে। জাতি জানতে চায় কেন এই বিপর্যয় ঘটলো এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের বিপর্যয় এড়াবার রোডম্যাপ কী।

তিনি বলেন, বিশস্ত সূত্রে জানা যায়, ঘোড়াশাল গ্রিডের কোনো এক লাইন ট্রিপ করায় অন্য লাইন ওভারলোড হয়ে ধারাবাহিক ট্রিপের কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েছে। ঘোড়াশাল কেন্দ্রটিতে ফুল লোড দিতে গেলে এ সমস্যার সূত্রপাত। এ কথাটি সত্য হলে প্রশ্ন হলো এ কেন্দ্রটিতো নতুন। এই চীনা কেন্দ্রটি চালু করার আগে ‘ফুল লোড টেস্ট’ করা হয়েছে কি না পিডিবিকে তা স্পষ্ট করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, অভিযোগ রয়েছে- দেশে বেসরকারি পর্যায়ে স্থাপিত রেন্টাল, কুইক রেন্টাল ও দীর্ঘমেয়াদের কিছু আইপিপি কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি, বিশেষ করে জেনারেটরগুলো মানসম্পন্ন নয়। এছাড়া রেন্টাল, কুইক রেন্টাল কেন্দ্রগুলো বেজ লোডকেন্দ্র হিসেবে স্থাপন করা হয়নি। এসব কেন্দ্রের কারণেও গ্রিড ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।

নয়াশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ