ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা পাবো না, এটা দুঃখজনক’

প্রকাশনার সময়: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:৩৮

তিস্তার পানিসহ ভারতের সঙ্গে সব অমিমাংসীত সমস্যার সমাধান জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক বেগম রওশন এরশাদ। বলেছেন, তিস্তার পানি প্রবাহের ন্যায্য হিস্যা না পাওয়ায় বাংলাদেশের এক লক্ষ হেক্টর জমি শুকিয়ে মরুভূমিতে রূপান্তরিত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা পাবে না, এটা দুঃখজনক। আশা করি, শিগগিরই দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনা করে এবিষয়ে সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলশানের এক অফিসে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির প্রথম সভায় সভাপতির ভাষণে টেলি কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য সচিব গোলাম মসীহ্, যুগ্ম আহবায়ক এম এ সাত্তার, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, এস এম এম আলম, এম এ গোফরান (সাবেক এমপি), অ্যাড. জিয়াউল হক মৃধা (সাবেক এমপি), অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু ও কাজী মামুনুর রশীদ। সভার শুরুতে দেশব্যাপী কাউন্সিল প্রস্তুতির ব্যাপক কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন গোলাম মসীহ। সফরে ৭ সমঝোতা স্মারক চুক্তি হওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে রওশান এরশাদ বলেন, বিশেষ করে ভারত সরকার বাংলাদেশকে ডিজেল দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এছাড়াও কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে যে চুক্তি সই হয়েছে, তা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন। এবারের ভারত সফরে বেশকিছু সাফল্যজনক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও মোবারকবাদ জানান বিরোধী দলীয় এই নেতা।

তিনি আরো বলেন, ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের লাখো শহীদের রক্তই শুধু ঝরেনি, বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের অসংখ্য সৈনিকের বুকের তাজা রক্তও ঝরেছে। তাই ভারতের সরকারই নয়, জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের আত্মার আত্মীয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ