দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে অংশ নেয়ায় দু’বারের নির্বাচিত সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে বিএনপির সব ধরনের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
তবে গত ১৫ জুন অনুষ্ঠেয় কুসিক নির্বাচনে ইভিএমে কারচুপির বিষয়ে জানতে তাকে কার্যালয়ে ডেকেছিলেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের। এ সময় তাকে জাতীয় পার্টিতে যোগদানের প্রস্তাব দেন জিএম কাদের।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মনিরুল হক সাক্কুর একান্ত সচিব কবির হোসেন মজুমদার।
তিনি বলেন, গত ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ এনেছিলাম আমরা। সেসব কারচুপির বিষয়ে জানতে মনিরুল হক সাক্কুকে জাপা কার্যালয়ে ডেকেছিলেন পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তবে সাক্কুর জাপা’য় যোগদানের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে কবির হোসেন মজুমদার বলেন, জাতীয় পার্টিতে যোগদানের কোনো প্রশ্নই আসে না। তিনি (জিএম কাদের) মেয়র মহোদয়কে (মনিরুল হক সাক্কু) আলোচনা শেষে জাতীয় পার্টিতে যোগদানের জন্য প্রস্তাব দেন।
এ সময় জিএম কাদের বলেন, আপনি তো এখন বিএনপির কোনো পদে নেই, দল থেকেও বহিস্কৃত, আপনি চাইলে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিতে পারেন। এতে আমাদের পার্টি কুমিল্লায় প্রাণ ফিরে পাবে। জবাবে মনিরুল হক সাক্কু বলেছেন, এটা তো অনেক বড় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আমি ভেবে আপনাকে জানাব।
গত বুধবার (১০ আগস্ট) ঢাকার বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে যান কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। এ সময় তিনি পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ জাপার শীর্ষ নেতাদের সাথে আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সাল থেকে কুমিল্লার মসনদে আসীন ছিলেন মনিরুল হক সাক্কু। ২০০৫ সালে ছিলেন কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান, ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ছিলেন পৌর মেয়র। ২০১২ এবং ২০১৭ দুই দফায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র হন। চলতি বছরের ১৬ মে পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। এবার কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে প্রথমবারের মতো হারলেন সাক্কু। দলীয় পদ গেল। বিএনপি থেকে আজীবন বহিষ্কার হলেন।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ