আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে টিকার অভাব নেই। আগামী ৭ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট সারাদেশে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ বছরের মধ্যে ১০ কোটি টিকা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণটিকা কার্যক্রম সফল করতে সারাদেশে মানুষের মঝে প্রচার চালাতে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার (৪ আগস্ট) আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর ও দলের সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের বিশেষ সভার সূচনা বক্তব্যে এ কথা জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় ওবায়দুল কাদের সভাপতিত্ব করেন। টিকাগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারণা সফল ও শোকাবহ আগস্টে দলীয় কর্মসূচি সমন্বয় করতে এ সভার আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারাদেশের প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আগামী ৭ থেকে ১৪ আগস্ট গণটিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এই টিকা কার্যক্রম সফল করতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের দলের সভাপতি শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী টিকা টিকা গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি সবাইকে টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারণা চালাবেন।’
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ৭ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে করোনা মোকাবিলায় গণটিকা কার্যক্রম চালানো হবে। তিনি বলেন, এই গণটিকা কার্যক্রম সফল করার জন্য আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে সারা দেশে প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে এই গণটিকা কার্যক্রম চালানো হবে। এই কার্যক্রম সফল করতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। নিজে টিকা নিতে হবে, মানুষকে টিকা নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারণা চালাতে হবে। এটা আমাদের দলের নেত্রীর নির্দেশ।
সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। সবার প্রতি আহ্বান সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। করোনা মোকাবিলায় এবং মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সচারু রূপে সম্পন্ন করা হলেও বিএনপি নেতৃবৃন্দ বরাবরের মতো মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। আগস্ট মাস এলেই বিএনপি’র গাত্র দাহ বেড়ে যায়। ইতিহাসকে অস্বীকার করতে চায়, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের স্বীকারোক্তিতেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সঙ্গে জিয়ার জড়িত থাকার কথা বেরিয়ে আসে। খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চেয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড.আবদুর রাজ্জাক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ প্রমুখ।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ