২০২১ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আয় হয়েছে ২১ কোটি ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ১০৬ টাকা, ব্যয় করেছে ছয় কোটি ৩০ লাখ ১৯ হাজার ৮৫২ টাকা। রোববার (৩১ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে গত বছরের (২০২১ সাল) আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব হুমায়ূন কবীর খোন্দকারের কাছে জমা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল।
দলের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান এ হিসাব জমা দেন। সেখানে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়। দলটি মনোনয়নপত্র ও সদস্য ফরম বিক্রি থেকে বেশি আয় করেছে বলে হিসাব বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে।
টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের গত দুই বছরের আয়-ব্যয় বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে দলটির আয় বেড়েছে ১০ কোটি ৯০ লাখের বেশি। তবে আগের বছরের (২০২০) তুলনায় ২০২১ সালে দলটির ব্যয় কমেছে তিন কোটি ৬৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। পাশাপাশি ব্যাংকে জমা আছে ৭০ কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার ১৬৬ টাকা।
২০২০ সালে আওয়ামী লীগের আয় হয় ১০ কোটি ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫৩৩ টাকা, যা ২০১৯ সালের আয়ের চেয়ে ১০ কোটি ৬৮ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা কম। ২০১৯ সালে দলটি আয় করেছিল ২১ কোটি দুই লাখ ৪১ হাজার ৩৩০ টাকা।
অন্যদিকে ২০২০ সালে আওয়ামী লীগের ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৩১ টাকা, যা ২০১৯ সালের ব্যয়ের চেয়ে এক কোটি ৭৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫৬ টাকা বেশি। ২০১৯ সালে দলটির ব্যয় হয়েছিল আট কোটি ২১ লাখ এক হাজার ৫৭৫ টাকা।
২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের বছরে আওয়ামী লীগের আয় হয়েছিল ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৪২ হাজার ৭০৭ টাকা। ব্যয় হয়েছিল ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৭ টাকা।
২০০৮ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের নিয়ম চালু করে ইসি। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে নিবন্ধিত দলগুলোর প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের বছরের ‘অডিট রিপোর্ট’ জমা দেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
দলগুলো কোন খাত থেকে কত টাকা আয় করছে, কত টাকা ব্যয় করছে সেসবের বিল-ভাউচারসহ পূর্ণাঙ্গ তথ্য কমিশনের নির্ধারিত একটি ছকে জমা দিতে হয়। এ হিসাব বিবরণী রেজিস্টার্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্মের মাধ্যমে নিরীক্ষা করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পরপর তিন বছর কমিশনে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে ব্যর্থ হলে ইসির সেই দলের নিবন্ধন বাতিলের এখতিয়ার রয়েছে।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ