সরকার এখন চোখে সর্ষে ফুল দেখবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ সংকটসহ দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেখা যাচ্ছে প্রায় ৭৮ হাজার কোটি টাকার দিতে হয়েছে কোনো বিদ্যুত উৎপাদন না করেই। এখন যে বলা হচ্ছে ছয়টি ডিজেলচালিত বিদ্যুত কেন্দ্র বন্ধ থাকবে, বাকিগুলো কিন্তু পয়সা পেতেই থাকবে। এরা (ছয়টা)ও কিন্তু পয়সা পাবে। পত্রিকায় দেখেছি, ১৭৬০ কোটি টাকা বছরে তাদের জন্য গুনতে হবে। এতে প্রমাণিত শুধুমাত্র দুর্নীতি করার জন্য কোনো বিশেষ বিশেষ কম্পানিকে অর্থ বানানোর সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে তাতে নিজে উপকৃত হওয়ার কারণে এই কাজটা করেছে তারা।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ না দিয়ে ওইসব কম্পানি মালিকদের এভাবে টাকা দেওয়া হচ্ছে, এরা এভাবে টাকা চুরি করেছে। একদিন তাদের এর হিসাব দিতেই হবে। এই হিসাব না দিয়ে তারা যেতে পারবে না। তাদেরকে জনগণে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটা মেগা প্রজক্টে দুর্নীতির করার জন্য তারা (সরকার) জনগণের পকেট থেকে টাকা কেটে নিয়ে সেই টাকা প্রদান করা হচ্ছে সেটার দিকে তাদের কোনো নজর নেই। যার ফলে কী হয়েছে? আজকে যে সংকট তৈরি হয়েছে তার প্রধান কারণ দুর্নীতি।
ডিজেল চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত নির্ভর করে পোষাক শিল্পের ওপরে। সেই খাতে যখন বিদ্যুত ও জ্বালানি চাহিদার ঘাটতি হলে সমস্যা তৈরি হবে, পরিবহনে সমস্যা সৃষ্টি হবে। জ্বালানি তেল ও বিদ্যুত সম্পূর্ণভাবে অর্থনীতির সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। সেখানে যখন রেশনিং সিস্টেম চালু করা হবে তখন কিন্তু উৎপাদনের হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
নয়া শতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ