শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জরুরি ভিত্তিতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার (১০ জুন) দিনগত রাত ৩টা ২০ মিনিটে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
তিনি বলেন, এর আগে রাত ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে গুলশানের বাসা ফিরোজা ত্যাগ করেন খালেদা। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
দলটির আরেক প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান দলীয় চেয়ারপারসনের বাসার উদ্দেশ্যে রাতেই রওনা হন বলে জানান। তবে খালেদা জিয়া হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগেই ফিরোজায় পৌঁছান মির্জা ফখরুল।
শামসুদ্দিন দিদার জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে মধ্যরাতে দ্রুত তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাকে অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে রাত ৩টা ২০ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে এসেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, কামরুজ্জামান রতন, এ বি এম আব্দুস সাত্তার, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শায়রুল কবির খান, অভিক ইস্কান্দার ও ফাতেমা বেগম।
‘বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে হবে’- এ দুই শর্তে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তিতে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর’-এর ধারা-৪০১ (১)-এর ক্ষমতাবলে সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রথমবারের মতো শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। এরপর দফায় দফায় বাড়ে তার মুক্তির মেয়াদ। সবশেষ গত মার্চ মাসে শর্ত অপরিবর্তিত রেখে আরও এক দফা তার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনে সায় দেয় সরকার।
৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে গুলশানে তার বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তিনি আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত বছর সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়।
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ