সরকার গোষ্ঠী স্বার্থে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (৬ মে) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৫ মে) বিকেলে বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে মিল মালিকদের বৈঠকের পর প্রতি লিটারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৩৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেলের মূল্য ৪৪ টাকা বৃদ্ধি করা হয়। এতে করে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ হয় ১৯৮ টাকা।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নিজেদের গোষ্ঠী স্বার্থে সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে সরকার। অথচ আশপাশের কোনো দেশেই ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। একমাত্র বাংলাদেশের বর্তমান গণধিকৃত সরকারই জনগণের স্বার্থের তোয়াক্কা করে না। এরা নিপীড়ন-নির্যাতনের ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে জনগণকে বন্দি রাখতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘সয়াবিন তেলের এই মূল্য বৃদ্ধি সরকারের চরম গণবিরোধী নীতিরই বহিঃপ্রকাশ। সয়াবিন তেল এখন সোনার হরিণ। এই সরকার যে জনগণের শক্রপক্ষ সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধিতে তা আবারও প্রমাণ হলো। ’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইদুল ফিতরের প্রাক্কালে বাজার থেকে সয়াবিন তেল উধাও এবং গতকাল সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি নজিরবিহীন ঘটনা। এ ঘটনা জনগণকে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে। ক্ষমতাসীন মহলের সিন্ডিকেটের দৌরাত্বে বাজার থেকে সয়াবিন তেল গায়েব করে এখন চরম মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষকে চরম হয়রানির মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ভোজ্যতেল হিসেবে সয়াবিন তেল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পণ্য। প্রতিটি পরিবারে রান্নার কাজে এটি একটি অত্যাবশকীয় উপকরণ। সুতরাং নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়াই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘ভোটারবিহীন সরকারকে জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা করতে হয় না। তাই তারা সয়াবিন তেলের মতো একটি প্রয়োজনীয় পণ্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিয়ে গিয়ে তাদের চরম দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।’
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ