প্রায় এক বছর পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
মির্জা ফখরুলসহ দলটির শীর্ষ নেতারা বুধবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় যান। সেখানে এক ঘণ্টা থাকাকালীন দলের প্রধানের সময় ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ছাড়াও নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন তারা।
ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় ঢোকেন।
সাক্ষাত শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রায় দুই বছর পরে আজকে আমরা জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এক সঙ্গে ঈদের শুভেচছা জানাতে আমাদের চেয়ারপারসন এবং এদেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রিয় নেতা, গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করতে এসেছিলাম। এই সাক্ষাত আমরা পূর্বেও করেছি যখন তিনি কারাগারে ছিলেন না, গৃহে অন্তরীণ ছিলেন না। ওই সময় প্রতিবছরই আমরা ঘরের ভেতরে না, ঘরের বাইরে লনে বসে ঈদের দিনে আমরা সাক্ষাত করতাম, শুভেচ্ছা বিনিময় করতাম।’
‘আমাদের এবারকার এই সাক্ষাত নিসন্দেহে খুব বেশি আনন্দময় ছিল না। আনন্দময় যতটুকু ছিল এজন্য যে, প্রায় বছর খানেক পর আমরা তার সঙ্গে দেখা করতে পারলাম, তার কথা শুনতে পারলাম এবং আমাদের যে শুভেচ্ছা, তিনি যেন সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন এই প্রার্থনার কথা তাকে আমরা জানাতে পারলাম। সমস্ত দেশবাসী যে তার জন্য প্রার্থনা করছে সেই কথাটাও আমরা জানাতে পারলাম।’-বলেন ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন অসুস্থ। এই অসুস্থতার মধ্যে তিনি পূর্বেও যেমন দেশবাসীর কথা চিন্তা করেছেন সবসময়। আজকে তিনি ঠিক একইভাবে দেশবাসীর ও দেশের মানুষের অবস্থার কথা জানতে চেয়েছেন এবং বর্তমানে যে সামগ্রিক অবস্থা আছে আমাদের কাছে এই অবস্থার ব্যাপারে অবগত হয়েছেন।’
‘সবসময় তিনি সেটা কাগজ-পত্রে পড়ছেন, নানা জায়গায় পড়েছেন। তারপরও তিনি আমাদের কাছ থেকে শুনেছেন এবং তার যে উদ্বেগ সেই উদ্বেগ তিনি প্রকাশ করেছেন।-বলেন ফখরুল।
এর আগে সকালে খালেদা জিয়ার বোন সেলিনা ইসলাম ও ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারসহ নিকটাত্মীদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খান খালেদা।
সর্বশেষ গত বছরের কোরবানির ঈদের দিন খালেদা জিয়ার দেখা পেয়েছিলেন এই নেতারা। গত রোজার ঈদের বিএনপি চেয়ারপারসন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় দলের নেতাদের সাথে তার সাক্ষাত হয়নি।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়া হয় বিএনপি প্রধানকে।
এরপর থেকে গুলশানের ওই বাসায় থাকছেন বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত ৭৬ বয়সী খালেদা জিয়া। যেখানে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থক কেউই নেত্রীর সাক্ষাত পান না।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ