করোনাকালেও দেশের কৃষি উৎপাদন বেড়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারে থাকলে দেশে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা নেই, দুর্ভিক্ষ দূরে থাকুক।

দেশের একটি অংশ সরকার পতনের আন্দোলনের বাহানা খুঁজতে দুর্ভিক্ষ-দুর্ভিক্ষ সুর তোলার চেষ্টা করছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, শকুনের দোয়ায় গরু মরে না, তাই তাদের আন্দোলনের স্বপ্নও পূরণ হবে না।

শুক্রবার সকালে ঈদ উপলক্ষে দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও কিছু বুদ্ধিজীবী দেখতে চায় দেশে খাদ্য নিয়ে হাহাকার হোক, দুর্ভিক্ষ হোক। তারা মনে করে- দেশে দুর্ভিক্ষ হবে, রাস্তাঘাটে মানুষ না খেয়ে মরে পড়ে থাকবে; আর তা নিয়ে আন্দোলন করে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটাবে।

‘কিন্তু শকুনের দোয়ায় গরু মরে না। কারণ আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি ও কর্মসূচি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্যনিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে করোনাকালেও দেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করেছেন। রেকর্ড পরিমাণ খাদ্য মজুত রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য সহযোগিতা নিয়ে নিরন্ন মানুষের পাশে আছেন বলেও জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য।

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন দেশে কখনও খাদ্যসংকট হবে না, কোনো দুর্ভিক্ষও হবে না।’

বিএনপি জোট, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও কিছু বুদ্ধিজীবী করোনাভাইরাস মোকাবিলার ক্ষেত্রেও বাংলাদশের ব্যর্থতা দেখতে চেয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করে তাদের এই চাওয়াকে ব্যর্থ করে দিয়েছেন। এখন জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সারা বিশ্ব বলছে, বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় রোল মডেল। বাংলাদেশ আজ শুধু উন্নয়নের রোল মডেল নয়, করোনা মোকাবিলায়ও রোল মডেল।’

দেশের মানুষের বিপদে-আপদে আওয়ামী লীগ সব সময়ই পাশে থাকে বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘খালেদা জিয়া-তারেক রহমানরা ক্ষমতায় থাকাকালে দেশটাকে লুটপাট করে অর্থবিত্ত উপার্জন করেছেন, নিজেদের ভোগবিলাসে ব্যয় করেছেন আর বিদেশে পাচার করেছেন। প্রয়োজনের সময় মানুষের পাশে দাঁড়াননি।’

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শেখ মো. আজাহার বক্তব্য রাখেন।

নয়া শতাব্দী/এস