জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাচঁরুখী এলাকায় উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, ‘সাহস থাকলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেখুন, দেশের জনগণ ক্ষমতাসীনদের বিতাড়িত করবে।’
এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ হন, ধৈর্য্য ধরুন। তা না হলে আন্দোলনে সফল হওয়া যাবে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, যারা কথায় কথায় গুলি করে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে। আমাদের নেতা আজ আট হাজার মাইল দূরে, নেত্রী গৃহবন্দি। আমাদের লড়াই করে এর থেকে বের হতে হবে। যারা তারেক রহমানকে বিশ্বাস করেন তাদের একটাই কাজ, ঐক্যবদ্ধ থাকা। আজকে শুধু তারেক রহমান কিংবা খালেদা জিয়ার লড়াই নয়। আমাদের দেশ স্বাধীন রাখতে পারব কি না, একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারব কি না সেই লড়াইও করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে ছয় মাস ছয় মাস করে সাময়িক মুক্তি দিয়ে আরেকটা কৌশল হাতে নিয়েছে সরকার। তাকে কীভাবে আটকে রাখা যায় তার কৌশল এটা। সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘বিচার বিভাগ দলীয়করণ করায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার পরও জামিন দেওয়া হয়নি, বরং ৫ বছরের সাজা ১০ বছর বাড়ানো হয়েছে।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১০টাকা কেজি চাল দেওয়ার কথা বলে সরকার ৭০ টাকা কেজি চাল খাওয়াচ্ছে। ঘরে ঘরে চাকরির নামে সিলমারা আওয়ামী লীগ কর্মীদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে।’
এসময় সরকারের মন্ত্রী-সচিব-ব্যবসায়ীরা করোনা ভ্যাকসিনের অর্থ লোপাট করেছেন বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই র্শীষ নেতা।
তিনি বলেন, ‘করোনা ভ্যাকসিনের নামে ২৩ হাজার কোটি টাকার কোনো হিসাব নেই। নিজেদের মন্ত্রী, সচিব, ব্যবসায়ী-উপদেষ্টাদের পকেটে চলে গেছে এসব টাকা। মেগাপ্রজেক্টের নামে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন হয়েছে। সাধারণ মানুষের পকেট কেটে তাদের পকেট ভারি করছে। তাদের উন্নয়ন হচ্ছে, জনগণের না।’
তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির মূল কারণ ক্ষমতাসীনদের চুরি আড়াল করার ফন্দি বলেও মনে করেন মির্জা ফখরুল।
এসময় তিনি দাবি করেন, বেগম জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকেও দেশে আসতে দেবে না বলে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘তিনি (জোবায়দা) যেন দেশে আসতে না পারেন সে জন্য উচ্চ আদালত তার মামলা খারিজের আবেদন নাকচ করে মামলা চলার কথা বলছেন।’
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ