মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের চার নেতাকে জেলখানায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর। এ দিনটিকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ ও সাধারণ ছুটি ঘোষণাসহ তিন দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন অভিমুখে পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
রোববার বিকাল ৪টায় জাতীয় সংসদ ভবনের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে পদযাত্রা শুরু করবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক থেকে এ ঘোষণা দেন সোহেল তাজ।
লেখেন, ‘আগামী রোববার বিকেল ৪টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে (দক্ষিণ দিকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সংলগ্নে) আমি অবস্থান নেব। জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে (মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ) বিকেল ৪টায় গণভবনের উদ্দেশে হেঁটে যাত্রা শুরু করব।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর আড়াই মাস পর ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গুলি করে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে।
এই চার নেতার মধ্যে সোহেল তাজের পিতা তাজউদ্দীন আহমেদ প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
সোহেল তাজ ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তাজউদ্দীনের আসন গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্য হন। পরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদ পেলেও মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মন্ত্রিত্ব ও সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দেন।
সোহেল তাজের তিন দাবি
১. ১০ এপ্রিল প্রথম সরকার গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম নিল, তাই এই দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।
২. ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।
৩. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
এটা একান্তই তার নিজের উদ্যোগ বলে জানান সোহেল তাজ। একই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘আপনারা কেউ যোগ দিতে চাইলে আসতে পারেন, আর না আসলে আমি একাই যাব- জয় বাংলা।’
নয়া শতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ