বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অন্ধকার কেটে যাবে, মানুষ জেগে উঠছে, জেগে উঠবে ইনশাআল্লাহ। আজকে আওয়ামী লীগ যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে, তার জন্য দায়ী প্রত্যেককে চিহ্নিত করা হবে। বিচারের আওতায় আনা হবে। জনগণ এদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ তারা জানেন, তিনি (খালেদা) বাইরে থাকলে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না।’
শনিবার (৫ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল আয়োজিত এক আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশকে ভয়াবহ নরকে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ। দেশের যেসব মানুষ অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকে, ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতির মাধ্যমে তাদেরকে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে রেখেছে। আসুন ঐক্যবদ্ধ হই, ফ্যাসিস্ট কর্তৃত্ববাদী সরকারকে পরাজিত করে দেশে একটি জনগণের সরকার ও মুক্ত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি।’
‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক ব্যবহার নয়, তারাই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোক যারা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে তুলে নিয়েছে, গুম করেছে, খুন করেছে। কোথাও কোনো সুরাহা পাওয়া যায়নি’ যোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘কথায় আছে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। আমরা যখন এসব কথা বলি, তখন তাদের কানে যায় না। বিভিন্নভাবে আমাদের কথাগুলোকে বিদ্রুপ করেছে। হারিয়ে গেছে, প্রেম করেছে এসব কথাবার্তা বলতেও দ্বিধা করেনি। অথচ বিশ্বের সামনে আজকে প্রমাণ হয়েছে, আমরা এতদিন যেসব কথাবার্তা বলে এসেছি, তা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে গেছে। যে কারণেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এসেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞায় পরিষ্কার করে উল্লেখ করা হয়েছে, গুম করা ও বিচার বহির্ভূতহত্যা করার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে এবং তার কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তারা আমেরিকার কোনো কিছুর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না। এটা ছোট-খাটো ব্যাপার নয়। বাংলাদেশের মতো একটা দেশ, যারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে, সেই দেশ যখন স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছে, তখন এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা গোটা জাতির জন্য কলঙ্ক। এর জন্য দায়ী সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগ সরকার। তারা ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে জোর করে চরম জঘন্য অমানবিক কার্যক্রম করছে।’
তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ