গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপির কেউ না, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যে কটাক্ষ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বলেছেন, বিএনপি কোনো একদিন ফখরুলকেই অস্বীকার করে বসতে পারে।
বুধবার রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করতেন এবং তাকে বিএনপি’র উপদেষ্টা হিসেবে সবাই জানে।
‘জাফরুল্লাহ চৌধুরীর তালিকা থেকে সিইসি নিযুক্ত হয়েছেন। এ জন্য তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং সিইসির ওপর আস্থা রাখার জন্য বিএনপিসহ সব দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এখন বিএনপি ডা: জাফরুল্লাহকেও অস্বীকার করছে।
‘বিএনপি কখন কাকে অস্বীকার করে, এক সময় কোনো কারণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকেও বিএনপি অস্বীকার করতে পারে, সেটাও হতে পারে।’
গত শনিবার সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পরের দিনই শপথ নেয় নতুন কমিশন।
কাজী হাবিবুল আউয়ালকে সিইসি করতে প্রস্তাব করেছিলেন গত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ভালো মানুষ উল্লেখ করে তাকে সহযোগিতা করতে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপিকে যে পরামর্শও দেন। তবে তা ধর্তব্যে নিচ্ছে না দলটি।
মির্জা ফখরুল ময়মনসিংহে এক জনসভায় বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বিএনপির হয়ে কোনো মত দেয়ার অধিকার রাখেন না।
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতার কথায় তারা কেন ট্রাকের নিচে মাথা দেবেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যেহেতু জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে, সেজন্য তারা নির্বাচনকে ভয় পায় এবং সে কারণেই নির্বাচন কমিশন নিয়ে তারা বিভিন্ন প্রশ্ন তুলছে। জনগণের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই, তারা পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করে জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে, তাই তারা আসলে নির্বাচন করতে চায় না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচন করতে চায় না। কারণ, তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান আদালতে শাস্তিপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী নির্বাচন করতে পারবেন না। তারা যে নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলে, এগুলো আসলে বাহানামাত্র।’
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ