আওয়ামী লীগ সরকারের ‘বর্বর শাসনের’ বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশে ধিক্কার উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে পারবে না। অচিরেই তাদের পতন হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজ কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ উপজেলাধীন কোন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বাসায় আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করেছে। এছাড়াও জিঞ্জিরায় বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের পর নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশী হামলা ও তাদেরকে আহত করার ঘটনা নিঃসন্দেহে কাপুরুষোচিত। ছাত্রলীগের ‘সন্ত্রাসীদের’ কর্তৃক আজকের এই ঘটনা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। এ ধরনের হামলায় আবারো প্রমাণিত হলো- বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কতটা নির্মম, অগণতান্ত্রিক, ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদী।
তিনি বলেন, গত ১২ বছরে সরকারের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলন-সংগ্রাম দমন করতে তারা বিভিন্ন কায়দায় দমন-নিপীড়ন চালিয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে যখন আওয়ামী সরকারের ‘বর্বর শাসনের’ বিরুদ্ধে ধিক্কার উঠছে, দ্রব্যমূল্যের ঊধ্র্বগতিতে দেশের মানুষের যখন নাভিশ্বাস অবস্থা- তখন বর্তমান সরকার দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে আদিম হিংস্রতা শুরু করেছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, জনপদে জনপদে বর্তমান সরকার ভয়াবহ অত্যাচার ও নিপীড়নের মাধ্যমে এক ভয়ংকর দুঃশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। আজ কেরানীগঞ্জে বিনা উস্কানিতে ছাত্রলীগের ক্যাডার এবং পুলিশের হামলা বর্তমান সরকারের নিরবচ্ছিন্ন দুঃশাসনেরই ধারাবাহিকতা।
‘তবে অতীতে যেমন কোনো স্বৈরাচারই দমন-পীড়ন চালিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারেনি, বর্তমান ক্ষমতাসীনরাও গায়ের জোরে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে পারবে না। অচিরেই তাদের পতন হবে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, কেরানীগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ এবং পুলিশের হামলা ও নেতাকর্মীদের গুরুতর আহত করার ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি। এ সময় অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান তিনি।
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ