ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

হারিছ চৌধুরী কী সত্যিই মারা গেছেন?

প্রকাশনার সময়: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭:০৩

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন আবুল হারিছ চৌধুরী। সেই সময়ে বিএনপির এই প্রতাপশালী ব্যক্তির মৃত্যুর খবরকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা রহস্য।

সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর খবর প্রচার করা হয়। কোনো কোনো গণমাধ্যম বলছে, হারিছ চৌধুরী যুক্তরাজ্যে সাড়ে তিন মাস আগে মারা গেছেন। সেখানেই তার দাফন হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলছে, সাড়ে তিন মাস আগে তিনি ঢাকায় মারা গেছেন এবং ঢাকায় তার দাফন হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে হারিছ চৌধুরির মৃত্যু নিয়ে নীরব রয়েছে বিএনপি।

এদিকে বিএনপির সাবেক এই নেতা সত্যিই মারা গেছেন কিনা তা জানতে চেয়ে এবার সিআইডিকে চিঠি দিয়েছে ইন্টারপোল। তার বিরুদ্ধে থাকা ইন্টারপোলের রেড নোটিশ প্রত্যাহারের জন্য তার মৃত্যুর প্রমাণ জানতে চেয়েছে ইন্টারপোল।

শনিবার (১২ জানুয়ারি) পুলিশ সদর দফতরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপুলিশ পরিদর্শক (এআইজিপি) মহিউল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সদর দফতরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের সঙ্গে কাজ করে। কারও বিষয়ে রেড নোটিশ জারি কিংবা প্রত্যাহারের বিষয়টিও তারাই তদারকি করেন। তারা বলছেন, রেড নোটিশ প্রত্যাহারের আগে হারিছের মৃত্যুর সঠিক তথ্য প্রমাণ দরকার। তাই সিআইডিকে এই বিষয়ে দ্রুত লিখিত তথ্য দিতে বলা হয়েছে।

মহিউল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমরা দেখেছি হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন। একজন মৃত মানুষেরতো ইন্টারপোলে রেড নোটিশ রেখে কোনও লাভ নেই। তাই আমরা পুলিশের অপারেশনাল ইউনিট সিআইডির কাছে তার মৃত্যুর সত্যতা জানতে চেয়েছি। তিনি মারা গেছেন কিনা তা জানাতে বলেছি। তাদের অনুরোধেই হারিছ চৌধুরীর ইন্টারপোলে রেড নোটিশ চাওয়া হয়েছিল।’

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাসহ একাধিক মামলার অভিযুক্ত আসামি ছিলেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রভাবশালী নেতা সিলেটের হারিছ চৌধুরী। ওই হামলার টার্গেট ছিল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই হামলা মামলার চার্জশিটেও অভিযুক্ত আসামি ছিলেন হারিছ চৌধুরী। অভিযোগপত্রে তাকে লাপাত্তা দেখানো হয়।

২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পর হারিছ চৌধুরী গা ঢাকা দেন। ২১ আগস্ট হামলা মামলায় তিনি অভিযুক্ত হওয়ার পর ২০১৫ সালে তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি হয়। ইন্টারপোলের রেড নোটিশে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা বলা হয়েছে, ‘খুন এবং আওয়ামী লীগের সমাবেশে হ্যান্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ।’ রেড নোটিশে তার ছবিসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্যও উল্লেখ রয়েছে।

এনসিবির চিঠির বিষয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মোহাম্মদক কামরুজ্জামান জানান, এনসিবি থেকে একটি চিঠি পেয়েছি। হারিছ চৌধুরীর স্থায়ী ঠিকানা অনুযায়ী সিলেটের পুলিশ সুপারকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছি। একই সঙ্গে ঢাকায় তার দুটি অস্থায়ী ঠিকানায় খোঁজখবর নিতে সংশ্লিষ্ট পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার এসব ঠিকানা থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পর সিআইডি এনসিবিকে বিস্তারিত জানিয়ে দেবে।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ