ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জয় কমেছে আ’লীগের স্বতন্ত্র দ্বিগুণ

প্রকাশনার সময়: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:৪০

বিদায়ী নূরুল হুদা কমিশনের অধীনে অষ্টম ও শেষ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন শেষ হয়েছে। আট ধাপের ইউপিতে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে হেরে গেছে প্রায় ১৭-শ’র বেশি প্রার্থী। জয়ের ক্ষেত্রে গতবারের তুলনায় চমক স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। তাদের কাছে রীতিমতো ধরাশায়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা।

ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আট ধাপে ঘোষিত ফলাফলে মোট চার হাজার ১৩৬টি ইউপির মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন এক হাজার ৭৯২টিতে। এ হিসাবে ৪৪ শতাংশই তাদের নিয়ন্ত্রণে। অথচ পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সাল অনুষ্ঠিত চার হাজার ১০৪টি ইউপির মধ্যে তারা জিতেছিলেন ৮৮৯টিতে। এ সময়ের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দ্বিগুণের বেশি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। দলীয় মনোনয়নে অনুষ্ঠিত প্রথমবারের নির্বাচনের ফলাফলের তুলনায় এবার পিছিয়ে গেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।

প্রথমবারের মতো দলীয় মনোনয়নে অনুষ্ঠিত ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি অংশ নিলেও এবার তারা অংশ নেয়নি। তবে দলটির অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জয়ীও হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এ নির্বাচনে। বিএনপি দলীয় প্রতীকে অংশ না নিলেও দলটির অনেক নেতাকর্মী স্বতন্ত্র হিসাবে নির্বাচন করেন। স্বতন্ত্রদের জয়ের পাল্লা ভারী হওয়ার প্রভাব পড়েছে নৌকা প্রতীকে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ফলাফল ভালো নয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, গতবার বিএনপি ভোটে ছিল, তবে দলটি এবার নেই। সেই হিসাবে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের গতবারের তুলনায় অধিকসংখ্যক পদে জয়ী হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। তবে সেটি হয়নি। এবার দলটির প্রার্থীরা দুই হাজার ১৯৪টিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

নৌকার এমন ভরাডুবির কারণ জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ে ত্রুটিসহ কয়েকটি কারণে এবার আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা ধরাশায়ী হয়েছেন। প্রার্থী বাছাইয়ে ত্রুটি, নির্বাচনের মাঠে প্রশাসনসহ বিভিন্ন পক্ষের প্রভাব ও অন্তর্কোন্দলসহ কয়েকটি কারণে সরকারি দলের প্রার্থীরা আশানুরূপ জয় পাননি। তিনি বলেন, বিএনপি ও সমমনা দলগুলো এ নির্বাচনে প্রকাশ্যে মাঠে ছিল না। ফলে নির্বাচনের মাঠ একচেটিয়াভাবে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দখলেই ছিল।

নয়া শতাব্দী/এস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ