নির্বাচন কমিশন গঠনে সরকারবিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমালোচনা-আপত্তির মধ্যেই আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সংসদে পাশ হতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের বহুল আলোচিত বিল।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যোগ্যতা-অযোগ্যতার অংশে দুটি পরিবর্তনের সুপারিশ করে সংসদে প্রতিবেদন দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
গতকাল বুধবার বিলের প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করেন কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার। ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ গত রোববার সংসদে উত্থাপন করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
পরে বিলটি পরীক্ষা করে সাত দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল।
নিয়ম অনুযায়ী এখন আইনমন্ত্রী যে কোনো দিন বিলটি পাসের প্রস্তাব করবেন সংসদে। এর ওপর সংসদ সদস্যরা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনীর প্রস্তাব তুলবেন। তখন বিলটি নিয়ে সংসদে আলোচনা হবে। সংসদ চাইলে সংসদীয় কমিটির সুপারিশসহ কিংবা সংসদে যে রকম স্থির করা হবে সেভাবে খসড়া আইনটি পাস করতে পারে। সাধারণত সংসদীয় কমিটির সুপারিশ সংসদে গ্রহণ করা হয়।
সংসদে উত্থাপিত বিলে সিইসি ও কমিশনারদের যোগ্যতাসংক্রান্ত ৫ (গ) ধারায় বলা আছে, সিইসি ও কমিশনার হতে গেলে, কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদে তার অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এই ধারায় সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদের পাশাপাশি ‘স্বায়ত্তশাসিত ও পেশায়’ যুক্ত করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। অর্থাৎ সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে সার্চ কমিটি এমন কাউকে সুপারিশ করবে, যার কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত পদে বা পেশায় অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা আছে।
আর অযোগ্যতার ক্ষেত্রে ৬ (ঘ) ধারায় বলা আছে, নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে সিইসি ও কমিশনার হওয়া যাবে না। এখানে দুই বছরের কারাদণ্ড উঠিয়ে দিয়ে শুধু কারাদণ্ডের সুপারিশ করেছে কমিটি। অর্থাৎ নৈতিক স্খলন বিষয়ে ফৌজদারি অপরাধে যে কোনো মেয়াদের সাজা হলেই তা সিইসি বা কমিশনার হওয়ার ক্ষেত্রে অযোগত্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
জানা গেছে, চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আজ বৃহস্পতিবার সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করবেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। একই দিনে বিলটি পাস হওয়ার কথা রয়েছে। বিলটি পাস হলে প্রথমবারের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন পাবে বাংলাদেশ।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ