বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের চলমান প্রক্রিয়াকে দলীয় স্বার্থে আইনি রূপ দেওয়ার সরকারি অপপ্রয়াসের ফলাফল হবে ‘যেই লাউ, সেই কদু’।
গতকাল সোমবার রাতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভার সিদ্ধান্ত আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে বিনা ভোটে অনির্বাচিত একটি অবৈধ সরকারের নিকট থেকে জনগণ এর চেয়ে বেশি কিছু প্রত্যাশা করে না। তারা মনে করে একটি নিরপেক্ষ, স্বাধীনযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের নৈতিক যোগ্যতা ও সামর্থ্য আছে শুধু একটি নির্বাচিত সরকারের।
সভায় দেশের চলমান রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা - পর্যালোচনা শেষে আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলেও জানান নজরুল ইসলাম খান।তিনি বলেন, ‘গত প্রায় ১ যুগ ধরে আমাদের দলের যেসব নেতাকর্মী গুম ও খুন হয়েছেন, তারা স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করেছেন মর্মে নিখোঁজ ও মৃত নেতাকর্মীদের নিকটাত্মীয়দের নিকট থেকে স্বীকারোক্তি লিখে নেওয়ার সরকারি নির্মম অপপ্রয়সে সভ্যতা, মানবতা এবং ন্যায়বিচারের সকল মর্মবাণী ও মূল্যবোধকে অগ্রাহ্য এবং রাষ্ট্র ক্ষমতার অপপ্রয়োগের এক নতুন কলংকময় দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে। বিএনপি এই ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলছে যে, এমন ঘৃণ্য অপচেষ্টা সরকারের আত্মরক্ষার হাতিয়ার নয়, বরং তার দানবিক পরিচয় স্পষ্টতর করেছে। ’
‘সভায় সরকারের এসব অমানবিক কর্মকাণ্ড ও নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য নাগরিক হিসেবে সুবিচার প্রত্যাশী গুম, খুনের নির্মম শিকারদের পরিবারের সদস্যদের ওপর অনৈতিক চাপ প্রয়োগ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ তীব্রতর করার লক্ষ্যে চলমান কর্মসূচি অব্যহত রাখার জন্য সারা দেশে দল ও অঙ্গদলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।’
সভায় দেশের ব্যাংক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহে চলমান অনিয়ম, দূর্নীতি, লুটপাট এবং এসব প্রতিরোধের প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়ক ভূমিকা পালনের একাধিক ঘটনা দেশের অর্থনৈতিক খাতে গচ্ছিত জনগণের সম্পদ মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখিন হওয়ার বিষয়টি সভায় আলোচিত হয়। এবং সভায় জাতীয় স্বার্থে এ বিষয়ে তথ্য নির্ভর বাস্তব চিত্র জনগণের সামনে উপস্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, সভায় আগামী ২৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার দেশব্যাপী সকল মহানগর ও জেলায় মহান মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ ফসল গণতন্ত্রকে জবাই করে একদলীয় অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসন জারির দিনটিকে “বাকশাল দিবস” হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি ওইদিন সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত দলমত নির্বিশেষে গণতন্ত্রমনা বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ