ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘নির্বাচন কমিশনের নামে ছাগল খুঁজছে সরকার’

প্রকাশনার সময়: ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:২১

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সরকার সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের নামে ছাগল খুঁজছে। ফলে এই সরকারের অধীনে বিএনপি কোন নির্বাচনে যাবে না। এমনকি ঘরে বসেও থাকবে না। একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করা হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বুধবার বিকেলে যশোর টাউন হল ময়দানে জেলা বিএনপি আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গণসমাবেশে মির্জা আব্বাস আরো বলেন, রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন করা এ দেশের সরকারকে বিদেশে মাফিয়াদের দেশ বলে চেনে। এর থেকে দেশকে বের করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, এ দেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা মুক্তি পেয়ে বিদেশে চলে যায়। অথচ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আইনের দোহাই দিয়ে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না। এ সরকার চায় খালেদা জিয়াকে আটকে রাখতে। কারণ তারা মনে করে খালেদা জিয়া দেশের বাইরে গেলে এ সরকার টিকে থাকতে পারবে না। তবে তাকে আটকে রেখেও শেষ রক্ষা হবে না। বিএনপি নেতাকর্মীরা আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাদের পতন ঘটাবে।

যশোর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপিকা নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্যে আইনগত কোনও বাধা নেই-আইনমন্ত্রী আমাদের এই কথা বললেও তারা সেই ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেননি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কেউই মুক্তিযুদ্ধ করেনি; এমনকি ৩০ লাখ শহীদের মধ্যে তাদের কেউ নেই। কেননা যুদ্ধ শুরু হলে তারা সব পালিয়ে ভারতে চলে যায়। সেই সময় মেজর জিয়া শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই দেননি, সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।

তিনি বলেন, আজকের এই মহাসমাবেশ যাতে না হতে পারে, সে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পেটোয়া বাহিনী দিয়ে যশোরের সব যানবাহন এমনকি রিকশাও বন্ধ করে দিয়েছে। তার প্রশাসন শহরের সব মাইকের দোকান, ডেকোরেশনের দোকান গতকাল রাতেই বন্ধ করে দেয়। কিন্তু শহিদ জিয়ার সৈনিকেরা, খালেদার জিয়ার সৈনিকরা-সেইসব বাধা উপেক্ষা করে ২০ থেকে ত্রিশ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে এই মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছে। তিনি যশোরকে বাধা অতিক্রম করার জেলা আখ্যা দিয়ে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের সোপান এখান থেকেই শুরু হলো।

সমাবেশেষ আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু, সহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, বিএনপি নেতা মারুফুল ইসলাম মারুফ প্রমুখ।

এদিকে, বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা গেছে। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ শহরমুখী হয়। দুপুরের আগেই শহরের টাউন হল ময়দান বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। দুপুরের পর শহরের মানুষের ঢল নামে। উপজেলা ও গ্রাম থেকে আসা বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বিএনপির গণসমাবেশ বানচাল করার জন্য পথে পথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে বাঁধা দেয়া হয়েছে। তারপরও বাঁধা উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগদান করেছেন।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ