ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যুবদল নেতাকে ফখরুল, ‘ইউ ডোন্ট নো’

প্রকাশনার সময়: ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:০০ | আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:০৪

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার বক্তব্যের পর দর্শকসারি থেকে যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক গোলাম মওলা শাহীনসহ কয়েকজন প্রতিবাদ জানান। এরপর মহাসচিব তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ইউ ডোন্ট নো, তুমি জানো না। আমি জেনে বলছি।’

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যের এক অংশে দাবি করেন, প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। তার এই বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গে সভায় যুবদলনেতা গোলাম মাওলা শাহীনসহ ছাত্রদলের কয়েকজন প্রতিবাদ জানান। উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে মঞ্চে উপস্থিত বিএনপি নেতারা তাদের শান্ত করেন।

উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, সভায় মূল প্রতিবাদী গোলাম মাওলা শাহীন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর অনুসারী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোমবার সন্ধ্যায় গোলাম মাওলা শাহীন বলেন, ‘মহাসচিব যা বলেছেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।’

মির্জা ফখরুলের বক্তব্য বিষয়ে যুবদল, ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতা জানান, ডা. মুরাদ ছাত্রদল করতেন, এ তথ্যটি সামনে এনে মূলত কী বলতে চাইলেন বিএনপির মহাসচিব, এ প্রশ্নটি এখন তাদের। যদিও এ প্রসঙ্গে এখন কোনও বক্তব্য সরাসরি দিতে নারাজ তারা।

তাদের এই মনোভাব নিয়ে কথা হয় ছাত্রদলের আরও কয়েকজনের সঙ্গে। তাদের ভাষ্য, তথ্য প্রতিমন্ত্রী যেভাবে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠতার পরিচয় দিচ্ছিলেন, সে বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই ‘ছাত্রদলের’ প্রসঙ্গটি সামনে আনেন মির্জা ফখরুল।

যুবদলের আরেক নেতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘ছাত্রদলের কথা বলাতেই আমরা বিব্রত হই। মহাসচিব না জেনেই ভুল বলেছেন, আমরা এটার প্রতিবাদ করেছিলাম। বয়োজ্যেষ্ঠরা কখনও কখনও ভুল করেন, এটা সবাই জানেন।’

পরে এ সম্পর্কে সঙ্গে সাবেক কয়েকজন ছাত্রদল নেতার সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, ১৯৯৬-৯৮ সেশনে ছাত্রদলের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ শাখার প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন ডা. মুরাদ। ৭১ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটির সভাপতি ছিলেন ডা. মেহবুবুল কাদির।

তবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ডা. মুরাদ হাসানের সংক্ষিপ্ত জীবনীর ‘রাজনৈতিক’ পর্বে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজনৈতিক জীবন তিনি ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ শাখার ‘কার্যকরী সদস্য’, ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ শাখার ‘সাংগঠনিক সম্পাদক’, ২০০০ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ শাখার ‘সভাপতি’, ২০০৩ সালে ৫ম কংগ্রেস এ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ‘কার্যকরী সদস্য’ নির্বাচিত হন।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ