বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘পুলিশ ছাড়া আসুন, আওয়ামী লীগ-বিএনপি খেলা হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে এত ভয় পান কেন? এই সরকার নাকি রোলমডেল। তবে এই সরকার কর্তৃত্ববাদের রোলমডেল।’
আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে সামরিক সরকার গণতন্ত্র হত্যা করে, আর বাংলাদেশে গণতন্ত্র হত্যা করিছিল আওয়ামী লীগ। এই গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। গণতন্ত্রকে ভালবাসেন বলেই আজ খালেদা জিয়াকে কারাগারে যেতে হয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী বক্তব্যের সমালোচনা করে স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান রহমান বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করছি না। আমরা শুধু তার চিকিৎসা চাই। দেশবাসীকে বলব, আপনারা আপনাদের গণতন্ত্রের নেত্রীকে রক্ষা করেন, জেগে উঠুন।’
ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর বীর উত্তম বলেন, ‘এই শেখ হাসিনার কোনো দয়াময়া নেই, মানবতা ও গণতন্ত্র উনার কিছু নেই। উনি পারে ষড়যন্ত্র করতে। এই প্রধানমন্ত্রী মঈনউদ্দিন ফরুদ্দিন সরকারের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘আজকে আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আমরা সমাবেশ ডেকেছি। কিন্তু এই সমাবেশ একদিকে মালিবাগ আরেক দিকে মতিঝিলে গিয়ে ঠেকেছে। এটা মহাসমাবেশে রূপলাভ করেছে।’
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন বলেন, ‘যে প্রতিবন্ধকতার কারণে নেত্রী মুক্তি পাচ্ছেন,তা আমাদের দূর করতে হবে।’
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির মূল বাধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার।’
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ