হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব ও খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী পিতা মরহুম আব্দুর রশীদ। মাওলানা জিহাদী ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানাধীন ধুরুং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকালেই অতি অল্প সময়ে নাজিরহাট নাসিরুল ইসলাম বড় মাদ্রাসায় কুরআন শরীফ হিফজ করে একাধারে হিদায়াতুন্নাহু কিতাব পর্যন্ত কৃতিত্বের সঙ্গে অধ্যয়ন করেন। অতঃপর উচ্চতর শিক্ষার উদ্দেশ্যে দেশের সর্ব বৃহৎ দ্বীনি বিদ্যাপীঠ (উম্মুল মাদারিস) আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী গমন করেন এবং কাফিয়া থেকে শুরু করে দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) পর্যন্ত সেখানেই সুনামের সঙ্গে অধ্যয়ন করেন।
আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী শিক্ষাজীবন সমাপ্তির পর পটিয়া থানাধীন কৈয়গ্রাম মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবনের সূচনা হয়। ওই মাদরাসায় এক বছর শিক্ষকতার পর বাবুনগর মাদরাসায় আহুত হলে সেখানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত হন।
এরপর বাবুনগর মাদরাসায় কয়েক বছর অধ্যাপনার পর ঢাকার আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদরাসায় ১৯৮২ সাল পর্যন্ত অধ্যাপনা করেন। এ সময়ে তার বাবার মৃত্যুর পর তিনি নিজ বাড়িতে চলে যান ও পুনরায় বাবুনগর মাদরাসায় যোগদান করেন।
১৯৭৮ সালে ইসলাম বিদ্বেষীদের প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে তিনি “ইসলামী আন্দোলন পরিষদ” নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠার করেছিলেন। তিনি দীর্ঘ সময় ছিদ্দিক আহমদের সাহচর্যে ছিলেন। কাদিয়ানী বিরোধী আন্দোলন ও খতমে নবুয়ত আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ’র মহাসচিব হন তিনি।
পরে ২০২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব নির্বাচিত হন।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ