আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (গাসিক) মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মেয়র জাহাঙ্গীর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এদিকে দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
শুক্রবার রাতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আগে আমার পার্টি থেকে বিষয়টি জানাক, তারপর মন্তব্য করব। বহিষ্কারের বিষয়ে কেন্দ্রে যোগাযোগ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে গোপনে ধারণ করা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন।
তবে জাহাঙ্গীর বরাবরই বলে এসেছেন, তার বক্তব্য সুপার এডিট করা হয়েছে। তবে এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ অক্টোবর দল থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। তাকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যেই এর জবাব দিতে বলা হয়। জাহাঙ্গীর ১৭ অক্টোবরের মধ্যেই তার জবাব দেন।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৫৭ ধারায় প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলার বিষয়ে বলা আছে। সেখানে বলা আছে, যেকোনো সদস্য আওয়ামী লীগের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, নিয়মাবলি, প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের পরিপন্থী কাজে অংশ নিলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ তার বিরুদ্ধে যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ