টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগ হাতে হামলার শিকার হয়েছেন রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরসহ গণ-অধিকার পরিষদের নেতারা। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদী বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
এ সময় গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহরাব হোসেন বলেন, আমাদের নেতারা মওলানা ভাসানীর কববে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আমাদের উপর বর্বর হামলা চালায়। আমরা চাইলে ছাত্রলীগকে প্রতিহত করতে পারতাম। কিন্তু আমরা তাদের মতো অপরাজনীতিতে বিশ্বাস করিনা, আমরা অহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তাদের মতো অপরাজনীতি চর্চা করি না। তারা জানে ভাসানীর রাজনীতি দেশে প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের গদি থাকবে না। তাই তারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের জন্ম হয়েছে রাজপথে। তাদেরকে দমাইয়া রাখা যাবে না।
বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন বলেন, আজকে আমরা এমন একটি দিনে এখানে দাঁড়িয়েছি যখন আমাদেরকে শোক করার কথা। এ বাংলাদেশের স্বপ্ন যিনি দেখিয়েছে সেই মওলানা ভাসানীর জন্মদিন আজ। অথচ আমরা দেখতে পাই তার জন্মদিনে কোনো আয়োজন নেই। ভাসানীর জন্মদিন জাতীয়ভাবে পালন করা উচিত। কিন্তু আমরা আজকে দেখতে পাই যে বাংলাদেশের রাজনীতি হয় একপাক্ষিক। বাংলাদেশের ইতিহাস হয় একপাক্ষিক। আজকে দেশের রাজনীতি থেকে ব্যবসা বাণিজ্য সবকিছু চলে গেছে গুটিকয়েক মানুষের হাতে। তাই তো আজকে দেখতে পাই যিনি এই বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল তার কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই। আজকে শুধুমাত্র এক লোকের ইতিহাস আমাদের দেখানো হয়, শুধুমাত্র এক দলের ইতিহাস দেখানো হয়। মওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের মত লোকদের ইতিহাস আজকে তরুণ সমাজ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। আজকে এই তরুণ সমাজ বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্যানারে জেগে উঠেছে। তাই তো মওলানা ভাসানীর কবর জিয়ারত করতে গিয়েছি আমরা। কিন্তু সেখানে আমাদেরকে বাধা দেওয়া হলো।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা রহমতুল্লাহ, গণ অধিকার পরিষদের সহকারী সদস্য সচিব মো. নাজমুল হুদা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের নাট্য বিষয়ক সম্পাদক নুসরাত তাবাসসুম প্রমুখ।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ