গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের নেতা মজলুম জননেতা আজকে আমরা তোমাকে স্মরণ করতে আসিনি। আজকে তোমার কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছি। ১৯৭২ সালে তুমি বলেছিলে কেউ খাবে কেউ খাবে না, তা হবে না, তা হবে না। দুর্ভাগ্য, ৫০ বছর পরেও আজকে মানুষ অনাহারে আছে, পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। আজকে তুমি যুগস্রষ্টা। তুমি অনেক কিছু দেখতে পেয়েছ, যা আমরা দেখতে পাইনি। ক্ষমতা তোমার লক্ষ ছিল না, তোমার লক্ষ ছিল মানুষের সুখ-শান্তি ও সেবা।’

মওলানা ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তার মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে এসে বুধবার দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আমি প্রত্যাশা করেছিলাম, আজকে আপনি নিজে এই মাজারে আসবেন। যদি দুই সপ্তাহ পৃথিবী ভ্রমণ করতে পারেন তাহলে ১০ মিনিটের জন্য হেলিকপ্টারে করে এখানে আসতে পারতেন। ভাসানীর দোয়া নিতে পারতেন। আপনার পিতা বিপদের সময় মওলানার পায়ের তলে এসে বসতেন।

আজকে আপনারও সময় এসেছে এই মাজারে এসে তার কাছ থেকে দোয়া নেয়ার। তা না হলে আপনি যে কত বড় বিপদে আছেন বুঝতে পারছেন না। একদিকে ধরাই সাপ বসে আছে, একদিকে ‘র’ ‘মোসাদ’, আরেকদিকে মানুষের অনাহার, পুষ্টিহীনতা, জিনিসপত্রের দাম কল্পনাতীতভাবে বাড়ছে। আপনি ভারতের প্রেসিডেন্টকে এনে এর থেকে রেহাই পাবেন না। রেহাই পেতে পারেন মওলানা সাহেবের দোয়া নিয়ে। আগে এক ভুল করেছেন পীরগঞ্জে আপনি যাননি। তারা বলেছেন, আমাদের মাকে তো দেখতে পেলাম না। আপনাকে আহ্বান জানাচ্ছি, আপনি হেলিকপ্টার নিয়ে আধাঘণ্টার জন্য হলেও মওলানা সাহেবের দোয়া নিয়ে যান। নিভৃতে এসে তার কাছে কামনা করেন কীভাবে দেশ পরিচালনা করতে হবে। কীভাবে দেশে গণতন্ত্র আনতে হবে। তা না হলে আমাদের সম্মুখে বড় বিপদ। দুই সপ্তাহ আপনি বিদেশে কাটাতে পারেন। নিশ্চয় এক ঘণ্টা এখানে মওলানার মাজারে চুপচাপ দাঁড়িয়ে তার দোয়া নিয়ে যেতে পারেন। আপনার বাবার বিপদের সময় তার পাশে একমাত্র মওলানা সাহেব থাকতেন। আজকে আপনিও এসে ওনার দোয়া নিয়ে যান।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে ভাসানী অনুসারী পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ভাসানীর মাজারে পৌঁছেন। তারা মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সদস্য হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নয়া শতাব্দী/এম