জনগণের কাছ থেকে হাতছাড়া হওয়া দেশের শাসনব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে রাজপথ দখলে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. কামাল বলেন, দেশে জনগণের সরকার থাকার কথা, সেই সরকার এখন ক্ষমতায় নেই। এই অবস্থা পরিবর্তন করতে হলে জনগণের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। জনগণ মানসিকভাবে প্রস্তুত এই সরকারকে পরিবর্তন করতে।
তিনি আরো বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, স্বাভাবিক জীবনে নিরাপত্তাহীনতাসহ নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। বাজারের আগুন আজ ১৭ কোটি মানুষের মনে জ্বলছে, তাই এই সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। সরকার একক শাসনতন্ত্র কায়েম করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, রাজপথ দখল করতে পারলে এক মাসের মধ্যে সরকার পতন করা সম্ভব। গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় ঘটনা ঘটেছে আর আজকে ধর্মমন্ত্রী সেখানে বেড়াতে গেছে এতেই বোঝা যায় এই সরকার কতটা অসাম্প্রদায়িক। আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া যাবে না। রোহিঙ্গা সমস্যা ভারতের সৃষ্টি। আমাদের রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করতে হবে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে মিয়ানমারে পাঠাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের রাজপথ দখল করতে হবে, তাহলে সরকারকে এক মাসের মধ্যে পতন করা সম্ভব। সেই রাজপথ দখলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, আপনার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক, গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন। দেশে শান্তি ফিরে আসবে।
সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড সাইফুল হক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সভাপতি কমরেড বজলুর রশিদ ফিরোজ প্রমুখ।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ