ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দ্রব্যের দাম বাড়ে বছরে ৩৫ বার: নজরুল 

প্রকাশনার সময়: ২৮ অক্টোবর ২০২১, ২২:২৪

এক বছরে ৩৫ বার দ্রব্যের দাম বাড়লেও ৭ বছরে একবারও শ্রমিকের বেতন বাড়ে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেছেন, দেশে দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে। কয়েকদিন আগে সয়াবিন তেলের দাম ৭ টাকা বেড়েছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ৮ মাসে ৭ বার সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। এ পর্যন্ত প্রতি লিটারে বেড়েছে ৪৫ টাকা।

ব্যবসায়ীদের লোকসান কমাতে তেলের দাম বাড়ানো হলো। তবে সরকার কিন্তু শ্রমিকদের কষ্ট লাঘবে তাদের বেতন বাড়াল না। অথচ যে পরিমাণ তেল এখনো মজুত রয়েছে তাতে আরো তিন মাস চলার কথা। সব মিলিয়ে শুধু পকেট কাটা হচ্ছে জনগণের।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির’ প্রতিবাদে শ্রমিক দল আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-শ্রমিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন খান, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসাইন প্রমুখ।

নজরুল বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে দ্রব্যমূল্য আরো বাড়বে। কারণ সরকারের কারো কাছে দায়বদ্ধতা নেই। গণতান্ত্রিক ও গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে হটিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আনতে হবে। আগামী দিনে সেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবে বিএনপি।

তিনি বলেন, গত এক বছরে চালের দাম বেড়েছে ৭ শতাংশ, আটা বেড়েছে ১৩ শতাংশ, ময়দা বেড়েছে ৩০ শতাংশ, সয়াবিন ৪৯ শতাংশ, পাম অয়েল ৫২ শতাংশ, চিনি ২৬ শতাংশ, মসুর ডাল ২৯ শতাংশ, রসুন ৪১ শতাংশ আর পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪২ শতাংশ।

নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, এখন মূল কর্তব্য হলো দেশ ও মানুষের স্বার্থ রক্ষায় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এগিয়ে যাওয়া। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হলে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন না। খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া হয়েছে শুধু রাজনৈতিক কারণে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করতে হবে। তাই সামনে পথ একটাই দেশের স্বার্থ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

মানববন্ধনে রিজভী বলেন, এ সরকারের আমলে ‘প্রতিবাদ’ শব্দটি নির্বাসনে গেছে। দেশে পেঁয়াজ-মরিচ-চাল-ডাল তেলের দাম বাড়ার প্রতিবাদ করলেই যেতে হবে শ্রীঘরে।

তিনি বলেন, বাজার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে লুটপাট চলছে। আর সেই লুটপাটের অর্থে বিদেশে বাড়িঘর বানানো হচ্ছে। বাংলাদেশের নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষ বাঁচল না মরল, তাতে সরকারের কিছু যায় আসে না।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ