পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ শেখ হাসিনা সরকারকে বিব্রত করতে মূলত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মৃত্যু ও ধর্ষণের গল্প ছড়ানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এমন দাবি করেন।
বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রতিক ধর্মীয় সহিংসতায় এখন পর্যন্ত মাত্র ৬ জন মারা গেছে। নিহতদের মধ্যে ৪ জন মুসলমান এবং তারা হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টার সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। দুজন হিন্দু মারা যায়, এদের একজনের সাধারণ মৃত্যু এবং অন্যজন ডুবে মারা যায়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কাউকে ধর্ষণ ও একটি মন্দিরেও অগ্নিসংযোগ বা ধ্বংস করা হয়নি। তবে সম্পদ বা প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এসব ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া ঘর পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্ত সবাই ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। কিন্ত দুর্ভাগ্য কিছু উৎসাহী মিডিয়া এবং ব্যক্তি ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ শেখ হাসিনা সরকারকে বিব্রত করতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হত্যা ও ধর্ষণের গল্প ছড়াচ্ছে।’
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিটি পুজামণ্ডেপের জন্য সরকার অর্থ প্রদান করে এবং পুলিশ বাহিনীর ঘাটতি থাকায় সবাইকে পর্যবেক্ষণে রাখতে বলা হয়েছে। এই ধরনের অপব্যবহারের ঘটনা এড়াতে পুজামণ্ডপ আয়োজকদের উচিত মণ্ডপগুলোকে অযত্নে না রাখা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, পুজামণ্ডপে কোনো উপাসক বা আয়োজক না থাকা অবস্থায় একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি পবিত্র কুরআনের একটি কপি মণ্ডপে রেখে যায়। অন্য একজন তার একটি ছবি তুলে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। যা ক্ষোভের জন্ম দেয় এবং ভাঙচুর ও লুটপাটের দিকে নিয়ে যায়।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ