আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি কর্মসূচির নামে কোনরূপ সন্ত্রাস ও জনভোগান্তি সৃষ্টি করলে আওয়ামী লীগ জনগণকে সাথে নিয়ে কঠোরভাবে তা প্রতিহত করবে।
বৃহষ্পতিবার সকালে তাঁর বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন,‘সভা-সমাবেশ সকলের সাংবিধানিক অধিকার কিন্তু সমাবেশের অনুমতি না দিলে বিএনপি বলতো সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না,আর অনুমতি দিলে হামলা,সন্ত্রাস সৃষ্টি করে জনগণের সম্পদ বিনষ্ট করে। বিএনপির কর্মসূচি মানেই জনগণের মাঝে আতংক সৃষ্টি করা।’ তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার নয়াপল্টনে পুলিশের উপর হামলা এবং সন্ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে সক্ষম নয় তাদের কর্মসূচি মানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।
মন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবারের কথিত সম্প্রীতি সমাবেশের আড়ালে বিএনপির ভিন্ন কোন এজেন্ডা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। অপরাধীদের বাঁচানোর জন্যই সম্প্রীতি সমাবেশের নামে বিএনপির এ সন্ত্রাস। তিনি বলেন, আসলে হামলা,সংঘর্ষ, ষড়যন্ত্র আর সন্ত্রাসী বিএনপির রাজনীতি, সেটা পূজামন্ডপে হোক আর নয়াপল্টনে হোক-, বিএনপি এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না।
সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন চায় জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা সরকার কখনো খালি মাঠে গোল দিতে চায় না,সরকার চায় প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ নির্বাচন, আর খালি মাঠে গোল দিতে আওয়ামী লীগ অভ্যস্ত নয়। বিএনপিই জন্ম লগ্ন থেকে এ চর্চা করে আসছে। ১৫ ফেব্রুয়ারীর খালি মাঠে নির্বাচনে কথা বিএনপি ভুলে গেলেও জনগণ এখনও ভুলেনি।
বিএনপি নেতারা তাদের ব্যর্থতা আড়াল করতে ও কর্মী সমর্থকদের রোষানল থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নয়, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। পূজা মন্ডপের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারের মামলা দেওয়ার অভিযোগ সত্য নয় জানিয়ে তিনি বলেন, কে কোন দল করে সেটা দেখে নয়, ভিডিও ফুটেজ দেখেই চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার মাধ্যমে বিএনপি পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চেয়েছিল কিন্তু সরকার তা শক্ত হাতে দমন করেছে। বিএনপি জাতিকে বিভ্রান্ত করছে এবং বিভেদ তৈরি করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করছে দেশকে উন্নয়নের সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে আর এটাই বিএনপি'র গাত্রদাহের কারণ।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পরবর্তী ধাপে যে সকল এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে, সে সকল এলাকার আওয়ামী লীগের প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিটকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউনিট সমূহকে এখন থেকেই মিটিং করে রেজুলেশন প্রস্তুত করতে হবে। যখন যে এলাকার জন্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে তার পরপরই ইউনিয়ন থেকে উপজেলা এবং জেলা হয়ে রেজুলেশন কেন্দ্রে জমা দিতে হবে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ