ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচনের আগে মাঠ খালি করতে আবারও মামলা : ফখরুল

প্রকাশনার সময়: ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৯:৪০ | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৯:৪৩

আসন্ন সংসদ নির্বাচনের আগে মাঠ খালি করতে আবারো মামলা দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা এবং অন্য যাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে তারা কেউই পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না।

বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করা এবং আইনগতভাবে বিপদগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে বরকতউল্লার বিরুদ্ধে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে পূজামণ্ডপে হামলা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার ঘটনাগুলোর পেছনে সরকারের প্রত্যক্ষ মদদ আছে। সরকারের এজেন্সিগুলো এর পরিকল্পনা করেছে। এর উদ্দেশ্য মূল সংকট থেকে দৃষ্টি অন্য দিকে সরানো এবং নির্বাচনের আগে মাঠ একদম খালি করে ফেলা।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন নিয়ে চিন্তাই করছে না বিএনপি। আগে এই সরকারের পতন। অথবা সরকার পদত্যাগ করে চলে যাওয়ার পর নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে নির্বাচন দিতে হবে, এটাই ফাইনাল।

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে ‘গায়েবি’ মামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে কোনো ঘটনা ঘটলেই তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয় এবং তাদের গ্রেফতার করা হয়, হয়রানি করা হয়। শুধু তাই নয়, অনেক সময় গায়েবি মামলাও করা হয়, যেটা আমরা গত নির্বাচনের আগে দেখেছি। গত নির্বাচনের আগে মিথ্যা, গায়েবি মামলায় প্রার্থীসহ কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়। আর এবার সরকার আগে থেকেই বিরোধী নেতাকর্মীদের নামে করা মামলাগুলো অতিদ্রুত শেষ করতে চাইছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা করে এসব মামলা দ্রুত নিস্পত্তি করতে চায়। যেন তারা নির্বাচনে অংশ না নিতে পারে।

ফখরুল বলেন, সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় মোট ৬০ মামলায় ১৫ হাজার ৯৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিএনপির ১৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে ২৩টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৭ হাজার ৯৬১ জনকে। এই মামলা কবে শেষ হবে। মামলার উদ্দেশ্য হলো- বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি, আটক এবং বড় গ্রেফতার বাণিজ্য করা। মূল জায়গা থেকে দৃষ্টি অন্য দিকে সরিয়ে নেয়া।

তিনি আরো বলেন, ইকবাল মানসিক ভারসাম্যহীন। ইকবালের কোরআন রাখার ঘটনা সাজানো হয়েছে। বলা হচ্ছে, সে নাকি কোরআন শরিফ নিয়ে মণ্ডপে রেখেছে। যেগুলো কোনোমতেই বিশ্বাসযোগ্য নয়।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।

নয়া শতাব্দী/এম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ