বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আমরা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না। কোনো নির্বাচন হতে দেব না।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে ‘সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি’র প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পেছনে সরকারদলীয় সিন্ডিকেট রয়েছে। জনগণ আজকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যেমন নিষ্পেষিত; তেমনিভাবে আওয়ামী দুঃশাসনে, তাদের অত্যাচার-নির্যাতন-চাঁদাবাজিতে নিষ্পেষিত। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার এর কোনো লাগাম টানতে না পারায় ওই দলীয় সিন্ডিকেট আরো উৎসাহিত হচ্ছে। যার ফলে চাল-ডাল থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার কোনোরকম ব্যবস্থা করতে পারছে না।
তিনি বলেন, আজকে জনগণের দাবি একটাই; আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও সব দলের অংশগ্রহণে হতে হবে। সে নির্বাচন হতে হলে শেখ হাসিনা সরকারকে হটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে আগামী নির্বাচন করতে হবে। জনগণ যাদের চায়, তাদের ভোট দিয়ে এ দেশে সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। তাহলেই এ দেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।
মোশাররফ আরো বলেন, দেশে যখন এ পরিস্থিতি তখন সরকার নানা ষড়যন্ত্র করছে। আমরা বলতে চাই, যারা এ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বাংলাদেশে অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় তারা আজকের এ সরকার। কেননা আগামী দিনে যে আন্দোলন-সংগ্রাম রয়েছে সেদিক থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এটা করা হচ্ছে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ