ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘সাম্প্রায়িকতা দূর করতে আন্তঃধর্মীয় শিক্ষার উপর জোর দিতে হবে’

প্রকাশনার সময়: ১৯ অক্টোবর ২০২১, ২০:১০

ধর্মান্ধতা ও সাম্প্রায়িকতা দূর করতে যুব সমাজের মধ্যে আন্তঃধর্মীয় শিক্ষার উপর জোর দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাংসদ শামসুল হক টুকু। তিনি বলেছেন, মহান স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে যে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গঠিত হয়েছিল। দেশের স্বাধীনতা বিরোধী সেই কুচক্রীমহল সাম্প্রদায়িকতার প্রথম বীজ বপণ করেছিলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে। দীর্ঘ প্রায় দুই দশকের বেশি সময় এদেশে ওই কুচক্রীমহল তাদের বিকৃত রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করেছে। তবে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কাছে কুচক্রীমহল কোনভাবেই সফল হতে পারবে না। সবাইকে একসঙ্গে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) উন্নয়ন সংগঠন দি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-এর অর্থায়নে এবং ফিন চার্চ এইড ও দ্যা নেটওয়ার্ক ফর রেলিজিয়াস এন্ড ট্রাডিশনাল পিস মেকাস, ফিনল্যান্ড-এর কারিগরী সহায়তায় আয়োজিত স্মারক বক্তৃতা প্রচার এবং সামাজিক সংহতি’ শীর্ষক অনলাইন ইয়ুথ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, পার্লামেন্ট নিউজে’র সাকিলা পারভীন, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের রাফিউল চৌধুরী, সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট আনন্দ রাজবংশী এবং পিএইচডি গবেষক (অপরাধবিজ্ঞান) নাজনীন শবনম, উন্নয়ন কর্মী মঞ্জুরুল ইসলাম, স্ক্যানের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল এবং তরুণ প্রতিনিধি ঢাকা থেকে ফরিদুল ইসলাম, কক্সবাজার থেকে মালেক সরকার, বরিশাল থেকে এথিনা বল্লবি ও খুলনা থেকে রিয়াদ হোসেন প্রমুখ। শামসুল হক টুকু বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা লিখেছিলেন। সকল নাগরিকের সমঅধিকারে কথাও সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। সংবিধানকে সমুন্নত রাখতেই সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের তরুণ সমাজকে উজ্জীবিত করে সচেতন ও দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য মাদকমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

সামাজিক কার্যক্রমে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করা ও আন্তঃধর্মীয় আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্যানেল আলোচক সাংবাদিক নিখিল ভদ্র বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হতে বিদ্ব্যেষমূলক বক্তব্য, অপপ্রচার, শান্তি ও সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে এমন বক্তব্য চিহ্নিত করে দ্রুততার সাথে সরিয়ে ফেলতে হবে। অন্যদিকে নিরাপদ ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিষয়ে যুব ও তরুণদের প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নিতে হবে। একইসাথে সুষ্ঠুধারার সংস্কৃতি চর্চার প্রসার এবং এলাকার জনপ্রতিনিধিদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

প্যানেল আলোচক ব্যাপ্টিষ্ট মিশনের বিশিষ্ট ধর্ম যাজক নৃপেন বৈদ্য আন্তঃধর্মীয় শিক্ষাকে আরও জোরদার করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে শিশুদের নিজ নিজ ধর্মীয় বা নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি শ্রেণীকক্ষে সপ্তাহে কিংবা মাসে অন্তত একদিন সকল ধর্মাবলম্বী শিশুদের একসাথে আন্তঃধর্মীয় বিষয়ে আলোচনা হওয়া জরুরি। এরফলে সকলে সব ধর্মের মূল বাণী যেমন জানতে পারবে একই সাথে একে অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে গড়ে উঠবে। নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ