নতুন মহাসচিব খোঁজছে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাতে গড়া জাতীয় পার্টি (জাপা)। গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করা জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর মৃত্যুর পর জাপার মহাসচিব পদটি শূন্য হওয়ায় এ পদে নতুন কাকে বসানো হবে তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। বিভক্তির ইঙ্গিতও দেখা গেছে।
জানা গেছে, পার্টির মহাসচিব পদে হতে পারেন এদের মধ্যে কো চেয়ারম্যান ও সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, কো-চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব সাইদুর রহমান টেপার নাম রয়েছে।
তবে পার্টির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা দেশ বলেছেন, দেশের একমাত্র বিরোধী দলের ভূমিকায় আছে জাতীয় পার্টি। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হলে এ মহাসচিব পদে হেভিওয়েট নেতা প্রয়োজন। এ সময় তৃণমুলে যার জনপ্রিয়তা আছে, পার্টির দুঃসময়ে যিনি কাজ করেছেন তাকে এ পদে প্রয়োজন। যে কাউকে এ মহাসচিবের আসনে বসালে পার্টি জনগণের আস্থা হারাবে।
জানা গেছে, মহাসচিব পদে কে আসবেন তা নিয়ে কো-চেয়ারম্যানরা দফায় দফায় বৈঠক শুরু করেছে।
এ বৈঠকে ছিলেন জাপার কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, মজিবুল হক চুন্নু এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সাবেক মহাসচিব তথা বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা, অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমান ও লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি।
এ প্রসঙ্গে জি এম কাদের গণমাধ্যমকে বলেন, দলের গঠনতন্ত্রের ২০/১(১)ক ধারা মোতাবেক চেয়ারম্যান যে কাউকে মহাসচিব পদে নিযুক্ত করার ক্ষমতা রাখেন। যেটা করলে দলের লাভ হবে, সেটাই তিনি করবেন।
উল্লেখ্য, এবিএম রহুল আমিন হাওলাদার বিভিন্ন মেয়াদে প্রায় ১৯ বছর জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা আগে একবার মহাসচিব ছিলেন। তবে পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের তাকে সরিয়ে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে মহাসচিব করেন।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ