বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৫ বছর ধরে বিএনপির ওপর মামলা-হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। বিএনপির ত্যাগ-নির্যাতন এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। বিএনপি লড়াই করছে বলেই ছাত্ররা ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটাতে পেরেছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁওয়ের শিবগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে বিএনপির সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আওয়ামী লীগ হত্যা করতে চেয়েছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি করার অপরাধে লাখ লাখ নেতাকর্মীকে নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এখন বাড়িতে পুলিশ যায় না এর চেয়ে বড় শান্তি আর নেই।
দেশে গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘকাল ধরে লড়াই করেছে জনগণ এমন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে জনগণের ওপর নির্যাতন শুরু করেছে। এতো পাপ করছে যে শেখ হাসিনার পালানো ছাড়া কোনো উপায় ছিলো না।
বাংলাদেশের আন্দোলনকে উগ্রবাদী বিদ্রোহ বলে বর্হিবিশ্বে শেখ হাসিনা অপপ্রচার করছে বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা এখন ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে উগ্রবাদীদের বিদ্রোহ বলে অপপ্রচার করছে। কিন্তু তা ছিল জনগণের বিদ্রোহ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোন রাজনৈতিক দলের নেতা নয়, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান যেখানে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করেছিলো সেখানে জিয়াউর রহমান সব দলকে পুনর্বাসন করেছেন।
নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে চাই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের জন্য প্রয়োজনে আরেকটা লড়াই হবে। ভোটের অধিকার আদায়ে ৫ আগস্টের মতো আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে।
দায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের উত্তেজনাপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রের এমন সংস্কার বা পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন যাতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়। আওয়ামী লীগ আর নৌকা নয়, বরং সত্যিকারের পরিবর্তন চায় দেশের মানুষ।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ