বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের দ্বিতীয় কাউন্সিলে সভাপতি পদে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক পদে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ঢাকা কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান নির্বাচিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়ে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
ছাত্র অধিকার পরিষদের উপদেষ্টা ডাকসুর সাবেক ভিপি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘ছাত্র অধিকার পরিষদ বাংলাদেশের রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আধিপত্য বিস্তার, টেন্ডার, চাঁদাবাজি দখলদারি বিপরীতে ছাত্র অধিকার পরিষদ মেধা ও সৃজনশীলতা দিয়ে প্রগতিশীল ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করেছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও দেশপ্রেমের ভাষা তৈরি করেছে। যে কারণেই ১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ৬ বছরের মাথায় ফ্যাসিবাদের পতনে সফল গণ অভ্যুত্থান ঘটেছে। ছাত্র অধিকার পরিষদ আগামীর ভবিষ্যৎ। ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রভাগে নেতৃত্ব দেবে। ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদেরকে সেরকম আদর্শিক কর্মী হয়ে উঠতে হবে।’
ছাত্র অধিকার পরিষদের উপদেষ্টা এবং গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, ‘ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছে। এটাই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ। ছাত্র রাজনীতির গুণগত মান আমাদের পরিবর্তন করতে হবে। রাজনৈতিক সংস্কার ব্যতীত এই দেশের কোনো পরিবর্তন হবে না। সুতরাং দল ও সংগঠনের মধ্যে আমাদের গণতন্ত্রের চর্চা বাড়াতে হবে। আশা করি রাষ্ট্র সংস্কারের রাজনীতির সাথে সকল দল ও সংগঠন নিজেদেরকে মানিয়ে নেবে। আমরা ছাত্র অধিকার পরিষদের নতুন নেতৃত্বকে বলব, জনগণের পাশে থাকুন। আপনারা ছাত্ররা আগামীর ভবিষ্যৎ। আপনারা সঠিক পথে থাকলে বাংলাদেশকে কেউ বিপথে নিতে পারবে না।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ