জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যায় যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুরে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
জিয়ারত শেষে নেতারা আবু সাঈদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেন। এ ছাড়া নেতারা আরও পাঁচ শহীদের কবর জিয়ারত করেন।
শুক্রবার সারা দেশে একযোগে ছাত্রদল নেতারা শহীদদের কবর জিয়ারত করেন এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন এবং আহত নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেন।
যদিও এর আগেও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতা ও স্থানীয় ছাত্রদলের নেতারা একাধিকবার আবু সাঈদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- রংপুর জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. শরীফ নেওয়াজ জোহা, রংপুর মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমরান খান সুজন, রংপুর জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আফতাবুজ্জামান সুজন, রংপুর মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সবুজ, দিনাজপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউর রহমান রেজা, নীলফামারী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. মারুফ পারভেজ প্রিন্স, সৈয়দপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হোসাইন মোহাম্মদ আরমান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আল আমিন ইসলাম, নীলফামারী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক মোজাম ও সৈয়দপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রাব্বি।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। তিনি রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন তিনি।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ