জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। উনারা কেবল বসলেন, মাত্র চারটা দিন হলো, আমরা দেখতে চাই উনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) কীভাবে জাতিকে নিয়ে এগোতে চাচ্ছেন। সমস্যাগুলোর সমাধান কীভাবে করেন। যৌক্তিক সময়ে সমাধান হবে বলে আমরা আশাবাদী।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন জাতির জীবনে একটা টার্নিং পয়েন্ট চলছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টার দাওয়াতে এখানে এসেছিলাম। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এখন করণীয় কী, সেই বিষয়ে আমাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশ আমাদের সবার। দেশ ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকব। আমরা যদি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করি সবাইকে সহযোগী করি, এখন যারা দায়িত্বে এসেছেন তাদেরকে সহযোগিতা করি; তাহলে দেশ একটা শৃঙ্খলা ও সুন্দরের মধ্যে আসবে বলে আমরা মনে করি।
জামায়াতের আমির বলেন, আন্দোলনে যারা শাহাদাত বরণ করেছেন তাদের জন্য দোয়া করেছি। যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সহানুভূতি ও সুস্থতা কামনা করেছি। দেশের বিভিন্ন ভালো মন্দ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।
ড. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের এখানে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ যারা আছেন তাদের উপর বিভিন্ন জায়গায় কিছু হামলা হয়েছে। হামলা ধর্মীয় কারণে হয়েছে নাকি রাজনৈতিক কারণ আছে, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। বিভিন্ন ধর্মের নেতারাই বলেছেন যেসব মামলা হয়েছে সেগুলোকে ধর্মীয় হামলা বলে চালানো যাবে না। একজন রাজনীতি করতো, রাজনীতি করতে গিয়ে মানুষের উপর অনেক অপরাধ করেছে, সেই ক্ষোভ থেকে হয়ত তার উপর হামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কোনো কোনো দেশ বিশেষভাবে জড়িয়ে পড়ছে, বাংলাদেশের ব্যাপারে ভীতি পরিবেশ সৃষ্টি করছে। এখন সেই দেশেরই বিবেকবান মিডিয়াগুলো প্রতিবাদ করছে। বিশেষ করে, আমাদের দলের নাম নিয়েও ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা পোস্ট এডিটোরিয়াল লেখছে। বলছে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিচ্ছেন তারা তো হাতে লাঠি নিয়ে মন্দির পাহারা দিচ্ছে। যারা মন্দির পাহারা দিচ্ছে তাদেরকে কেন অহেতুক ব্লেইম দেন। তারাই প্রতিবাদ করছে এখন আর আমাদের প্রতিবাদ করার দরকার হচ্ছে না।
বাংলাদেশে কেউ ষড়যন্ত্র করতে চাইলেও জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে আর পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা এখানে দলীয় দাবি নিয়ে আসি নাই। জাতীয় স্বার্থের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। দলীয় বিষয় আছে, এগুলো থাকবে। কথা হচ্ছে যে কেউ আমাদের নিষিদ্ধ করে দিল, আমরা নিষিদ্ধ হয়ে গেলাম সেটা আমরা মনে করি না। শেষের দিকে সরকার অনেক ভুল কাজ করেছে। সেটার মাশুল হয়ত দেশবাসীকে দিতে হবে, সরকারকে তো দিতেই হবে।
নয়াশতাব্দী/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ