গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ সামাজিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) গাজীপুর জেলায় গাছা থানার আশরাফ মার্কেট এলাকায় ১২ দলীয় জোটের লিফলেট বিতরণকালে তারা এসব কথা বলেন।
নেতারা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল, রাওয়ালপিন্ডি থেকে মুক্ত হয়েছিল, দিল্লির দাসত্ব গ্রহণ করার জন্য নয়। আমরা বিশ্ব সংবাদ মাধ্যম ও দেশের সংবাদ মাধ্যমে দেখছি, ভারতের ৫২৭টি পণ্যের মধ্যে বিষক্রিয়া পাওয়া গেছে। ইউরোপিয় ইউনিয়ন সেগুলো নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। সর্বশেষ যুক্তরাজ্য, মালদ্বীপ, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কাও ভারতের পণ্যগুলো বাজেয়াপ্ত করেছে। তাদের দুইটি ওষুধে ক্যানসারের মিশ্র উপাদান পাওয়া গেছে। সিঙ্গাপুর এবং হংকং সেগুলো বন্ধ করেছে।
তারা বলেন, গত ১৬ বছরে সীমান্তে ১২০০ এর অধিক নিরীহ নাগরিককে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ফেলানীর লাশ যখন সীমান্তে ঝুলে থাকে তখন মনেহয় সমগ্র বাংলাদেশ আজকে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে আছে। যদি বন্ধু হও, যদি আমাদের প্রতিবেশী হও তাহলে সীমান্তে অহরহ গুলি কেন? তাই আজকে বাংলার জনগণ, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেছে।
আরও তারা বলেন, আমরা ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে নই, আমরা ভারতের বন্ধু হতে চাই। কিন্তু যে বন্ধু আমাদের শোষণ করবে, যে বন্ধু আমাদের ফারাক্কা, তিস্তা, টিপাইমুখ বাঁধের ন্যায্য হিস্যা দেয় না, সে কী বন্ধু হতে পারে? কোনোদিনও বন্ধু হতে পারে না।
তাই আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করে বলতে চাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করো, আগ্রাসন নীতি পরিহার করো, বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বন্ধ করো। কারণ আপনার দেশে গণতন্ত্র থাকবে, আর আমার দেশে গণতন্ত্র যাতে না থাকে সেই ব্যবস্থা করবেন, বাংলার মানুষ তা কোনোদিন গ্রহণ করবে না।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণে আরও উপস্থিত ছিলেন জোটের সমন্বায়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, প্রেসিডিয়াম মেম্বার নবাব আলী আব্বাস খান, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ মহাসচিব আবু হানিফ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবুল বাশার, যুগ্ম মহাসচিব চাষী এনামুল হক, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র সহ সভাপতি শওকত আমিন, লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ