ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর নিষেধাজ্ঞায় খুশির কিছু নেই’

প্রকাশনার সময়: ২১ মে ২০২৪, ১৫:৫০

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় খুশির কিছু নেই বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন- র‍্যাবের ওপরও এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাতে তাদের কিছুই হয়নি। তাদের অপকর্মও থামেনি।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে শফিউল আলম প্রধানের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞায় খুশির কিছু নেই। র‍্যাবের ওপরও এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাতে তাদের কিছুই হয়নি। তাদের অপকর্মও থামেনি। আমার ঘর যদি নিজে সামলাতে না পারি, কেউ এসে সামলে দেবে না। নিজেদের শক্তি নিয়ে এদের পরাজিত করতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে সরকার। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সাথে সাথে সরকারের দুর্নীতি বাড়ছে।

একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে সরকার অনেক দূর এগিয়ে গেছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের আলখাল্লা পরে নির্বাচনের নাটক দেখাচ্ছে, এটা কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। গত ১৫ বছরে যে অপকর্ম করেছে সেই ভয়ে তারা সুষ্ঠু ভোট দিতে ভয় পায়। এখন যে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে তাতেও জনগণের সায় নেই। প্রকৃত অর্থে এর মাধ্যমে কোনো জনগণের রায়ের প্রতিফলন হচ্ছে না।

তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছি, ক্ষমতায় যেতে চাই না, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোটের অধিকার চাই। এতে আওয়ামী লীগের এত ভয় কেন? কারণ তারা যে অপকর্ম করেছে, এগুলো তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের হবে, সেই ভয়ে। স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল দাবি ছিল গণতন্ত্র, সেই চেতনা আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। এখন আবার একদলীয় শাসনের দিকে যখন আওয়ামী লীগ নিয়ে যেতে চায় তার মূল বাধা বিএনপি।

তরুণ সমাজ কোথায়, দেশের এই অবস্থায় তাদের কি আলোড়িত করে না- এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অন্য কোনো পথ চিনি না। আন্দোলনের বিকল্প নেই। জনগণকে বেরিয়ে আসতে হবে। রুখে দাঁড়াতে হবে।

‘আমরা কখনো যেন হাল না ছাড়ি, বুকে বল নিয়ে চলি’ নেতাকর্মীদের প্রতি এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বিএনপির মহাসচিব।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সকলকে আবার ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব, ইনশাআল্লাহ।

স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমুসহ সমমনা জোটের নেতারা।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ