বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি ও বুয়েট ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার নিন্দা জানিয়ে ‘মানববন্ধন’ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’। মানববন্ধন থেকে সরকারি ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে ছাত্র রাজনীতির কলঙ্ক এবং ক্যাম্পাসে সহিংসতার মূল নাটের গুরু হিসেবে অভিহিত করেছে দলের নেতৃবৃন্দ।
বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর পল্টন-বিজয় নগর সড়কে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে এবি পার্টি।
সমাবেশে বক্তাগণ বুয়েট পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আবরার হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজ না পেলে জানা যেতো না ছাত্রলীগের নেতারা কত ঠান্ডা মাথায় মানুষ খুন করতে পারে। পুরোনো ঢাকায় বিশ্বজিত নামক একজন দর্জিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যায়ও ছাত্রলীগ নেতাদের চরিত্র প্রকাশ পায়।
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ছাত্রলীগ মূলত ছাত্ররাজনীতির কলঙ্ক। তাদের খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজির কারণে মানুষ ছাত্র রাজনীতির প্রতি বিরক্ত ও বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছে।
বুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে যে আন্দোলন তার সাথে সংহতি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্যাম্পাসগুলো দখলে নিয়ে ছাত্রলীগ সবখানে পাক হানাদারদের মতো টর্চারসেল ও নারী নির্যাতন কক্ষ বানিয়ে রেখেছে। তারাই ক্যম্পাসে সহিংসতা ও জঙ্গিপনার নাটের গুরু। অতএব বুয়েট ক্যম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতি ফিরিয়ে এনে শত শত মেধাবী ছাত্রের জীবনকে জিম্মি করতে দেওয়া যায় না। সমাবেশ থেকে বুয়েটের সাবেক সকল শিক্ষার্থীদের একাত্ম হয়ে সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলনে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য দেন বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী প্রকৌশলী সিমাব ফাহিম, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, যুব পার্টির সদস্যসচিব শাহাদাত উল্লাহ টুটুল, ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স প্রমুখ।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ