ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশনার সময়: ৩১ মার্চ ২০২৪, ২২:০৩

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলতে ষড়যন্ত্র চলছে। শুধু তাই নয়, জিয়াউর রহমানের বিষয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এটার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। জিয়াউর রহমানের অবদান তুলে ধরে তা প্রচার করতে হবে। তার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সম্বলিত পুস্তক নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

রোববার (৩১ মার্চ) রাজধানীর লেডিসক্লাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে দেশে উন্নয়নের গান গায় সরকার। এই উন্নয়ন তো শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন। তিনি তো স্বল্প সময়ে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। তার জন্য দোয়া করবেন তিনি যেন সুস্থ হয়ে উঠেন। একইসঙ্গে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া চাইছি। অনুষ্ঠানে জেডআরএফ‘র প্রেসিডেন্ট ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদেরকে শক্তিশালী হতে হবে। আরও তীব্রতর আন্দোলন করতে হবে যতদিন পর্যন্ত না লক্ষ্য আদায় হয়। খালেদা জিয়া সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। সেবা পাওয়ার মৌলিক অধিকার থেকে তিনি বঞ্চিত। যিনি গণতন্ত্র রক্ষায় আজীবন লড়াই করছেন।

তিনি বলেন, আমরা ভোট বর্জন করেছি। এবার ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে হবে। আসুন ভারতের নিকৃষ্টতম পণ্য আওয়ামী লীগকে বর্জন করি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এ দেশ এখন ঘোর দুর্দিন অতিক্রম করছে। সত্যকে সত্য বলা যায় না। রাষ্ট্র যদি বলেন এটা সত্য সেটা মানতে হবে। গণতন্ত্র ধ্বংস যারা করেন তাদেরকে বলা হয় গণতন্ত্র রক্ষার প্রতীক! এই রীতি চালু করেছে শেখ হাসিনা। একটি বেপরোয়া সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতাসীন হয়ে জনগণের ওপর ছরি ঘোরাচ্ছে। গণতন্ত্রের নিয়ম কানুন প্রথা রীতি সব ধ্বংস করা হয়েছে। কেউ যাতে কথা বলতে না পারে, প্রতিবাদ না করতে পারে সে ব্যবস্থা কায়েম করেছেন শেখ হাসিনা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শেষ করা হয়েছে। এই সরকারের পতন ছাড়া কেউ স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন না। আরেকবার বুক পেতে দাঁড়াতে হবে।

জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান।

জেডআরএফের ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ব্যারিস্টার মীর হেলালের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. সদরুল আমিন, বিএফইউজের কাদের গণি চৌধুরী, ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদ প্রমুখ।

বিশিষ্টজন ও পেশাজীবীদের মধ্যে ইফতারে উপস্থিত ছিলেন এএসএম আবদুল হালিম, কবি আবদুল হাই শিকদার, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, শহীদুল ইসলাম বাবুল, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, হেলেন জেরিন খান, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খান, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাছির উদ্দিন নাছির, প্রকৌশলী মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিম, মাহবুব আলম, একেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, প্রকৌশলী আইয়ুব হোসেন মুকুল, ডা. সিরাজ উদ্দীন, ডা. মো. আবদুস সালাম প্রমুখ।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ