দেশে এখন কার্যত কোনো রাজনৈতিক তৎপরতা নেই। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগী। দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নির্বাহী কমিটির বৈঠকের পর দলটির সাথে যুক্ত অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও বসার কথা বলছে বিএনপি।
মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলার নেতাদের সাথে ধারাবাহিক বৈঠক শেষে রাতে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মির্জা ফখরুল। টানা পাঁচ ঘণ্টা চলা বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এটাই আজকের আলোচনার বিষয়বস্ত ছিলো। বুধবার এবং বৃহস্পতিবারও আলোচনা হবে। এরপর আমরা হয়তো আমাদের সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারি।
তিনি বলেন, আমাদের কার্যনির্বাহী পরিষদের যে ধারাবাহিক সভা হলো, সেখানে দেশে যে অনির্বাচিত, দখলদারী সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করবার যে শাসন এবং একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে এরা এগোচ্ছে- এবিষয় নিয়ে আমাদের সদস্যরা আলোচনা করছেন।
এদিকে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা বলেন, নির্বাহী কমিটির প্রত্যেক সদস্যের বক্তব্যে তিনটি বিষয় উঠে আসে। প্রথমত, দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়া যাবে না। দ্বিতীয়ত, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তৃতীয়ত, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করতে হলে বিএনপির আন্দোলনে যেতে হবে। এক্ষেত্রে জনসম্পৃক্ত আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে হবে।
বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯ পর্যন্ত ৫ ঘন্টা এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। প্রথম দিনে বৈঠকে ঢাকা ও ফরিদপুর বিভাগের নির্বাহী কমিটির সদস্যরা অংশ নেন। ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসেবে বুধবার চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগ এবং বৃহস্পতিবার খুলনা, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সাথে বৈঠক করবে বিএনপি।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ